Breaking News
Home / admin (page 2)

admin

চালু হতে যাচ্ছে ব্যাংকাসুরেন্সঃ ব্যাংক এবং ইন্সুরেন্স

বাংলাদেশ ব্যাংক, সম্প্রতি দেশে কর্মরত ব্যাংকগুলোকে ব্যাংকাসুরেন্স কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছে। ব্যাংকাসুরেন্স হলো একটি প্রক্রিয়া যেখানে ব্যাংক, ইন্সুরেন্স কোম্পানীর ইন্সুরেন্স পলিসি বিক্রয় করতে পারবে। মূলত দেশে ইন্সুরেন্সের পরিমান বৃদ্ধি করার জন্যই এই উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। ব্যাংরে মাধ্যমে ইন্স্যুরেন্স ইস্যু করা হলে জনগণের আস্থা তৈরী হতে পারে তাই ব্যাংকাসুরেন্স-এর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রিয় ব্যাংক সম্প্রতি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে এই নির্দেশনা প্রদান করেছে। ব্যাংকগুলো ইন্সুরেন্স কোম্পানীর কর্পোরেট পার্টনার হিসাবে কাজ করবে এবং তাদের কাজের বিনিময়ে ইন্সুরেন্স কোম্পানীর নিকট হতে নির্দিষ্ট পরিমানে কমিশন গ্রহন করবে। ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীগুলোকে ইন্স্যুরেন্স উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ( ইদ্রা) এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা প্রদান করবে। খবরে প্রকাশ হয়েছে যে, ইদ্রা খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে একটি সার্কুলার করবে।

আশা করা হচ্ছে আগামী ১লা মার্চ ২০২৪ হতে দেশে ব্যাংকাসুরেন্স চালু হবে। ১ লা মার্চ জাতীয় ইন্স্যুরেন্স দিবস পালিত হয়ে আসছে। তাছাড়া ব্যাংক এবং ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীগুলোর প্রস্তুতির জন্য সময় লাগতে পারে। অনেক আলাপ আলোচনার পর বাংলাদেশে ব্যাংকাসুরেন্স প্রক্রিয়া চালু হতে যাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, ব্যাংকাসুরেন্স চালু হলে ইন্স্যুরেন্স সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ইন্সুরেন্স খাতে অনেক পিছিয়ে আছে। তবে, জানা গেছে, ফায়ার ইন্সুরেন্স, মেরিন হাল এবং মেরিন কার্গো ইন্স্যুরেন্স – যা মোট নন লাইফ ইনসুরেন্স-এর ৮০ শতাংশ ধারণ করে – তা এই ব্যাংকাসুরেন্স হতে আপাতত বাদ রয়েছে।

বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ হাজার ২০০ এর মতো ব্যাংকের শাখা রয়েছে। এই ব্যাংক শাখাগুলোর মাধ্যমে ইন্সুরেন্স ইস্যু করা গেলে দেশে ইনসুরেন্সধারী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের বীমাখাত ভালো করতে পারবে।

বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

ব্যাংক আমানতের সুদের হারের সীমা থাকছে না, নিজস্ব ব্যবসা বিবেচনায় সুদের হার

বাংলাদেশ ব্যাংক, ব্যাংকগুলোর আমানতের সুদের/মুনাফার হারের বিষয়ে বিআরপিডি সার্কুলার নং-১৭, তারিখ: ০৮ আগস্ট ২০২১ এর বিষয়ে নির্দেশনা করে আর গত ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে এ বিষয়ে নতুন সার্কুলার জারী করে, ব্যাংকগুলোর নিকট পাঠিয়ে দেয়। ২০২১ সালের সার্কুলারের মাধ্যমে বলা হয় যে, আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা এবং ব্যাংকিং খাতে দায়-সম্পদ এর ভারসাম্যহীনতা রোধকল্পে ৩ মাস ও তদুর্ধ্ব মেয়াদী ব্যক্তি পর্যায়ের আমানত এবং বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, অবসরোত্তর পাওনাসহ বিবিধ পাওনা পরিশোধের লক্ষ্যে গঠিত তহবিল বাবদ রক্ষিত যে কোনো পরিমাণ মেয়াদী আমানতের উপর সুদ/মুনাফা হার মূল্যস্ফীতি হার অপেক্ষা কোনোক্রমেই কম নির্ধারণ করা যাবে না মর্মে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

২০২১ সালের ৮ আগস্ট জারি করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমানত সংগ্রহের ক্ষেত্রে সুদহারের সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশনা অনুসারে মেয়াদি আমানতের সুদহার মূল্যস্ফীতির নিচে রাখতে পারবে না কোনো ব্যাংক। তখন ঋণ বিতরণের সর্বোচ্চ সুদের হার ছিল ৯ শতাংশ। তবে গত জুলাই থেকে ঋণের বাজারভিত্তিক সুদহার ব্যবস্থা চালু হওয়ার কারণে আমানতের সুদহারের নিম্নসীমা-সংক্রান্ত ২০২১ সালের আগস্টের প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে।

 গত ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখের সার্কুলারে বলা হয়,  বর্তমানে ব্যাংক কর্তৃক বিতরণকৃত ঋণের বাজার ভিত্তিক সুদহার ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রেক্ষিতে ২০২১ সালের সার্কুলারে নির্দেশিত আমানতের সুদহারের নি¤œসীমার আবশ্যকতা নেই। তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে, ব্যাংক কর্তৃক সংগৃহীত আমানতসমূহের সুদহার স্বীয় বিবেচনায় নির্ধারণের লক্ষ্যে নতুন সার্কুলার জারী করা হয়। অর্থাৎ ব্যাংকগুলো এখন তাদের ব্যবসা বিবেচনা নিয়ে নতুন করে আমানতের সুদহার নির্ধারণ করতে পারবে। বর্তমান সার্কুলার দ্বারা বিআরপিডি সার্কুলার নং-১৭, তারিখ: ০৮ আগস্ট ২০২১ এর নির্দেশনা রহিত করা হয়।

দেশের মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাংক আমানতের সুদহার নির্ধারণের নীতিমালা বাতিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন ব্যাংক চাইলে যেকোনো সুদে আমানত সংগ্রহ করতে পারবে। মূলত আমানত সংগ্রহের ক্ষেত্রেও বাজারভিত্তিক সুদহার পদ্ধতি চালুর লক্ষ্যে আমানতের সুদহারের নিম্নসীমা প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

সূত্রঃ ব্যাংলাদেশ ব্যাংক ও বিভিন্ন পত্রিকা

চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট খেলাপি ঋণ এক লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট খেলাপি ঋণ এক লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। এই খেলাপী ঋণ, মোট বিতরণ করা ঋণের ১০.১১ শতাংশ। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ব্যাংক খাতে মোট বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা।

গত মার্চ শেষে দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ০১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি ৮০ লাখ টাকা, যা কিনা ঐ সময়ে মোট ঋণের ৮.৮ শতাংশ। আর তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ ২৪ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা বেড়ে গিয়ে এক লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকায় দাড়াল। গত বছরের জুন শেষে দেশে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ২৫ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা যা কিনা ঐ সময়ে বিতরণকৃত মোট ঋণের ৮.৯৬ শতাংশ। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩০ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা।

বাংলাদেশে বিতরণ করা ঋণের সঙ্গে খেলাপি ঋণের তুলনা করলে তা এখন মোট ঋণের ১০. ১১ শতাংশ। সুতরাং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। অন্যদিকে, অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কা রয়েছে প্রথম অবস্থানে। শ্রীলংকার খেলাপি ঋণের হার ১৩.৩৩ শতাংশ, পাকিস্তানে ৭.৪ শতাংশ, ভারতে ৩.৯ শতাংশ।

এদিকে বাংলাদেশের রিজার্ভ কমছেই। রেমিট্যান্সও কমতে শুরু করেছে। কমছে রপ্তানি আয়। বাংলাদেশের রিজার্ভ এখন ২২ বিলিয়ন ডলারের নীচে নেমে এসেছে বলে জানা গেছে। এটা আইএমএফ-এর অনুমোদিত রিজার্ভের চেয়ে কম।

সংশ্লিষ্ট খাত বিশেষজ্ঞগণ বলেছেন,  ঋণ নিয়ে নানা সংকটের কারণে কেউ ঋণখেলাপি হতেই পারেন।  কিন্তু আমাদের দেশে সেটা খুবই কম। এখানে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ইচ্ছে করে ফেরত দেয়া হয় না। এই কারণেই খেলাপি ঋণ হয় এখানে। তারা ক্ষমতাশালী। তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতাসহ আরো অনেক ক্ষমতা আছে। এটা একটা দুষ্টচক্র। এদের কোনো বিচার না হওয়ায় ব্যাংক থেকে ঋণের নামে টাকা নিয়ে তা ফেরত না দেয়ার একটি সংস্কুতি তৈরি হয়েছে। এটা ব্যাংকের টাকা লুটপাটের একটা কৌশল হিসেবে দাাঁড়িয়ে গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক যে হিসেব দেয় বাস্তবে তার চেয়ে খেলাপি ঋণ অনেক বেশি হতে পারে বলে অনেকের ধারণা করেন৷ ব্যাংক খাতে খেলাপি হয়ে যাওয়া আদায় অযোগ্য ঋণকে তিন বছর পর অবলোপন (রাইট) করতে পারে ব্যাংক, যা খেলাপির তালিকায় না রেখে পৃথক হিসাব রাখা হয়।

আবার ব্যাংকের পুনঃতফসিল করা ঋণের হিসাবও খেলাপি ঋণের তালিকায় থাকে না। আবার আদালতে রিট করে অনেকে খেলাপি হওয়া আটকে রেখেছেন। অনেক ঋণ নিয়ে আদালতে মামলা আছে। এর পরিমাণ দুই লাখ পাঁচ হাজার কোটি টাকা। ফলে তা বাংলাদেশ ব্যাংক দেখাতে পারে না। আর ৫৫ হাজার কোটি টাকা আছে রাইট অফ করা ঋণ। এই দুই লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা বাদ দিয়ে বাকি এক লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ক্লাসিফায়েড ঋণ হিসেবে দেখানো হয় বলে বিভিন্ন খবরে প্রকাশ হয়েছে।

সূত্রঃ বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও বাংলাদেশ ব্যাংক।

দ্রষ্টব্যঃ এখানে যে সকল লেখা আছে, তা কেবলই প্রকাশিত বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও বিভিন্ন মডিয়া থেকে নেওয়া। নিজস্ব কোন উৎসে থেকে নেওয়া নয়।

ব্যাংক হতে ঋণ নিতে লাগবে আঙ্গুলের ছাপ

এখন থেকে ব্যাংক হতে ঋণ নিতে লাগবে আঙ্গুলের ছাপ। একইসাথে ঋণ ডকুমেন্ট তৃতীয় পক্ষীয় জামিনাদাতাকে পড়ে শুনাতে হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বুধবার ০৭ অগাষ্ট ২০২৩ তারেখ বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।

প্রকাশিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মহামান্য হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে আদালতে বেশ কিছু রিট পিটিশন দায়ের করা হচ্ছে।  উক্ত পিটিশনসমূহে ঋণ গ্রহীতারা এবং ঋণের জামিনদাতাগণ উভয় ব্যক্তিই যথাক্রমে ঋণ গ্রহণ এবং জামিন প্রদান সংক্রান্ত বিষয়ে দলিলাদিতে স্বাক্ষর প্রদান করেননি মর্মে উল্লেখ করেছেন। সংশ্লিষ্ট চার্জ ডকুমেন্টসমূহের সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য ঋণ গ্রহীতা এবং জামিনদাতার স্বাক্ষরের উপর নির্ভর করতে হয় । যার কারেণ ঋণ আদায়ের আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহণ বিঘ্নিত হচ্ছে।’

প্রকাশিত নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা  হয়, এমন সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে উদ্ভূত আইনগত জটিলতা নিরসনকল্পে নির্দেশনা প্রদান করা যাচ্ছে যে, ঋণ প্রদানের উদ্দেশ্যে গৃহীত চার্জ ডকুমেন্টসমেূহের বিষয়বস্তু ঋণ গ্রহীতা এবং জামিনদাতাসহ সংশ্লিষ্ট তৃতীয়পক্ষীয় ব্যক্তি বা পক্ষকে পড়ে শুনানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। উক্ত ডকুমেন্টসমূহে তাদের  স্বাক্ষরের  পাশাপাশি , উভয় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) জন্য সংরক্ষিত ডাটাবেইজ হতে যাচাইপূর্বক তা গ্রহণ করতে হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক উল্লেখ করেছে । নির্দেশনাটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও বলা হয়েছে। ।

টেকসই রেটিং ২০২২ পেল ৭ ব্যাংক ও ৪ আর্থিক প্রতিষ্ঠান

তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংক, দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) সাসটেইনেবল রেটিং প্রকাশ করেছে। রিপোর্টে চারটি সূচকে উত্তীর্ণ হওয়া সাতটি ব্যাংক ও চার আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্থান পেয়েছে। আগের দই বারের দুটি রেটিংয়ে অবশ্য স্থান পেয়েছিল ১০টি করে ব্যাংক ও পাঁচটি করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

সাসটেইনেবল রেটিং-২০২২ তে স্থান পাওয়া ব্যাংকগুলো হলো ব্র্যাক ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, দ্য সিটি ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)। ব্র্যাক ব্যাংক ও দ্য সিটি ব্যাংক ২০২১ সালে সাসটেইনেবল  রেটিংয়েও স্থান পেয়েছিল। অন্য পাঁচটি ব্যাংক ২০২২ সালে নতুন করে সাসটেইনেবল রেটিং –এ স্থান পেয়েছে। ২০২১ সালের রেটিংয়ে ব্যাংক এশিয়া, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক ও সাউথইস্ট ব্যাংকের নাম আসলেও ২০২২  সালের রিপোর্টে তারা বাদ পড়েছে।

চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান রেটিং- এ স্থান পেয়েছে ।  তারা হলো অগ্রণী এসএমই ফাইন্যান্সিং কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড, আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড ও লংকান অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে লংকান অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের নাম এবার নতুন করে রেটিংয়ে এসেছে। অন্য তিনটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ২০২১ সালে প্রকাশিত রেটিং-ও  স্থান পেয়েছিল। ২০২১ সালে প্রকাশিত রেটিংয়ে স্থান পাওয়া বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচারাল ফাইন্যান্স ফান্ড (বিআইএফএফ) লিমিটেড ও আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড ২০২২ সালে বাদ পড়েছে।

টেকসই অর্থায়ন নির্দেশক (Sustainable Finance Indicator) সবুজ পুনঃঅর্থায়ন ( Green finance), সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম (CSR) ও মূল ব্যাংকিং কার্যক্রমের টেকসই সক্ষমতা (Core Banking Sustainability) সূচকের ভিত্তিতে সাসটেইনেবল রেটিং প্রণয়ন করে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রকাশিত খবরে জানা গেছে,  ব্যাংকগুলোর মধ্যে সুশাসন, শুদ্ধাচার ও সামাজিক দায়বদ্ধতা পালনে অনুপ্রাণিত করতে সাসটেইনেবিলিটি রেটিং প্রণয়ন করা হচ্ছে। রিপোর্ট তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগ। খবরে প্রকাশিত হছে যে, এই রিপোর্ট তৈরীর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের  ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ, অফসাইট সুপারভিশন বিভাগ, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের সহযোগিতা নেয়া হয়েছে। সবক’টি সূচকে যে সকল উত্তীর্ণ হতে পেরেছে, এবারের তালিকায় সেই সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নাম এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগ থেকে ২০২০ সালে দেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স পলিসির নির্দেশনা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (Sustainable Development Goal (SDG)) ভিত্তিতে সাসটেইনেবিলিটি রেটিং প্রণয়নের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।  সে মোতাবেক  ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো সাসটেইনেবল রেটিং-২০২০-এর শীর্ষ ১০ ব্যাংক ও পাঁচ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নাম আসে।  ২০২২ সালে একইভাবে ২০২১ সালের রেটিং প্রকাশ করা হয়। ।

সূত্রঃ বণিকবার্তা ও বিভিন্ন পত্রিকা

জুন মাসে ব্যাংকিংখাতে আমানত বেড়েছে ৩১ হাজার কোটি টাকা

বাংলাদেশে ব্যাকিংখাতে গত জুন মাসে এক মাসের ব্যবধানে আমানত বেড়েছে ৩১,১৮১ কোটি টাকা যা গত অর্থবছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য হতে জানা যায়,  চলতি অর্থবছরের জুন শেষে দেশে বিদ্যমান ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকা। যা কিনা আগের মে মাস শেষে ছিল ১৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা।

ব্যাংকিং খাতের বিশেষজ্ঞগণ মনে করছেন আমানত বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলো নতুন মুনাফার হার, যা কিনা আগের চেয়ে বেশি। তাছাড়া জুনে দেশে সবোর্চ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল সেগুলোও টাকায় রূপান্তর হয়ে আমানতে যোগ হয়েছে।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশে ব্যাংকিংখাতে আমানত কমেছে ১,৩৯৮ কোটি টাকা । ফেব্রুয়ারী মাস হতে প্রত্যেক মাসে আমানত প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। আর গত এপ্রিল মাসে ব্যাংখগুলোতে আমানতে বেড়েছে প্রায় ২৪,৯০২ হাজার কোটি টাকা । মে মাসে আমানত বেড়েছে ১৫,৮৮১ কোটি টাকা।

আর সর্বশেষ জুন মাসে এসে ব্যাংকগুলোতে আমানত বেড়েছে ৩১,১৮১ কোটি টাকা, যা ব্যাংকিং ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বলে বলা হচ্ছে।  ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ব্যাংকগুলোতে আমানত বাড়ে ৩৪,১৩২ কোটি টাকা- যা কিনা এ যাবৎকালের সবোচ্চ।

গ্রাহকেরা কনভেনশনাল বা মূলধারার ব্যাংকগুলোতে টাকা জমা করছেন বেশি । কারণ, কনভেনশনাল ব্যাংকগুলোতে এখনো বড় ধরনের কেলেংকারির ঘটনা ঘটেনি বলে অনেকে মনে করছেন। ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে  দেশে ২০২২ সালের মে মাসে শেষে ব্যাংকের বাইরে টাকার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ২৫ হাজার কোটি।  আর চলতি বছরের মে মাসে ব্যাংকের বাইরে টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা। আর  জুন  মাস শেষে এর পরিমাণ দেখা গেছে ২ লাখ ৯১ হাজার কোটি টাকা।

সুতরাং, অভিজ্ঞজন মনে করছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন টাকা বাজারে প্রবেশ করার কারণে নতুন করে টাকার পরিমাণ বেড়েছে। যা ব্যাংকে নতুন করে যোগ হচ্ছে বলেও মনে করেন ব্যাংকাররা। অন্যদিকে  বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষে আমানত এর পরিমাণ বাড়লেও অর্থবছর শেষে ৮.৪৪% প্রবৃদ্ধি হয়েছে । আর ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮.৯০% ।

বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

সূত্রঃ দি বিজনেজ স্ট্যান্ডার্ড।

জুলাই মাসে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আসা কমেছে ১০.২৭ শতাংশ

চলতি বছরের জুন মাসে রেকর্ড রেমিট্যান্স প্রবাহের পর জুলাই মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে। জুলাইয়ে প্রবাসীরা ১ হাজার ৯৭৩ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন, জুনে যার পরিমান ছিল ২ হাজার ১৯৯ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, গত এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে ২২৬ মিলিয়ন ডলার।

চলতি বছরের জুলাই মাসে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আসা কমেছে ১০.২৭ শতাংশ।

গত বছরের জুলাইয়ের চেয়েও এ বছরের জুলাইয়ে রেমিট্যান্স কমেছে। গত বছরের  এই সময়ে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, এ বছর ১২৩ মিলিয়ন কমে তা হয়েছে ১ হাজার ৯৭৩ মিলিয়ন ডলার।

গত জুনে ঈদের কারণে প্রবাসীরা রেকর্ড রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। আর জুলাই মাসে সেই তুলনায় রেমিট্যান্স কম এসেছে।

বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে যে,  এই বছরের জুলাইয়ে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১.৯৭ বিলিয়ন ডলার। আগের মাস জুনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২.১৯ বিলিয়ন ডলার। তবে ঈদুল আজহার পরের মাস হওয়ায় রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকাররা ।

গত জুন মাসে দেশে প্রায় ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে । তার আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে দেশে ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মোতাবেক ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে মোট রেমিট্যান্স  এসেছে ২১.৬১ বিলিয়ন ডলার। যা কিনা আগের অর্থবছরের চেয়ে ২.৭৫ শতাংশ বেশি।  আর২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসে মোট ২১.০৩ বিলিয়ন ডলার।

রপ্তানী আয়ে ডলারের দাম ১ টাকা বাড়লো আর রেমিট্যান্সে বাড়ল ০.৫০ টাকা প্রতি ডলারে।

বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাসোসিয়েশন অভ ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত মোতাবেক রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম ১ টাকা বাড়িয়ে ১০৮.৫০ টাকা ও রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ডলারের দাম ০.৫০ টাকা বাড়িয়ে ১০৯ টাকা করা হয়েছে।

অন্যদিকে আমদানি বিল নিষ্পত্তিতেও ডলারের দাম ০.৫০ টাকা বাড়িয়ে ১০৯.৫০ টাকা করা হয়েছে। সাধারণত ব্যাংকগুলো প্রতি ডলারের বিপরীতে  ১ টাকা করে লাভ করতে পারলেও ডলারের দাম ১০৯.৫০ টাকার সীমা অতিক্রম করতে পারে না।

গত মাসের বৈঠকে আন্তঃব্যাংক ডলারের দাম ১০৯ টাকার বেশি হওয়া যাবে না বলে একটি নতুন নির্দেশনা জারী করা হয়েছিল।

সাধারণত এক ডলার কেনার জন্য যদি একটি ব্যাংকের গড় খরচ ১০৭.৫০ টাকা হয় তাহলে  ব্যাংক গ্রাহকদের কাছে সর্বোচ্চ ১০৮.৫০ টাকায় বিক্রি করতে পারে। তবে এক ডলার কেনার গড় খরচ ব্যাংকের যদি ১০৮.৭০ টাকা হয়, তাহলে বিক্রি করার সময় ব্যাংক সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা দাম রাখতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, জুলাই মাসের ২৮ দিনে দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ১.৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমান রেমিঠ্যান্স এসেছে। অন্যদিকে জুন মাসে ২.০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্ এসেছিল। বিগত ২০২৩ অর্থ বছরে আগের অর্থবছরের তুলনায় ২.৭৫ % বেশি রেমিট্যান্স এসেছিল, যার পরিমান ছিল ২১.৬১ বিলিয়ন ডলার।

বাজেট ঘোষনায় যে সকল পণ্যের দাম কমতে পারে

যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে

জনস্বার্থ ও দেশীয় শিল্প সুরক্ষার জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন ধরনের পণ্যে শুল্ক কর ও ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যার দরুন, বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য, পোশাক ও ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতির দাম কমতে পারে। যেমন– মাংস, এলইডি বাল্ব ও সুইচ-সকেট, ই-কমার্সের ডেলিভারি চার্জ, মিষ্টি, কীটনাশক, স্প্রেয়ার মেশিন, হাতে তৈরি বিস্কুট ও কেক, ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মার ওষুধ, পশুখাদ্য, অপটিক্যাল ফাইবার, উড়োজাহাজ ইজারা, কনটেইনার, ব্লেন্ডার, জুসার আর  প্রেশার কুকারের মতো বিভিন্ন গৃহস্থালি সরঞ্জাম উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা আগামী দুই বছর (২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত) বহাল থাকবে। একই ধরনের সুবিধা পাবে ওয়াশিং মেশিন এবং মাইক্রোওয়েভ ও ইলেকট্রিক ওভেন উৎপাদনকারী কারখানাগুলো। তথ্যপ্রযুক্তি ও কম্পিউটার পণ্য উৎপাদনে অব্যাহতি সুবিধা আগামী তিন বছর (২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত) বাড়ানো হয়েছে। রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার উৎপাদনে এখনকার ৫ শতাংশের অধিক ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধার মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপারের কাঁচামাল আমদানিতেও ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা আরও এক বছর থাকবে বলে প্রস্তাব করা হয়েছে। সাবান ও শ্যাম্পুর দুটি কাঁচামালে ৫ শতাংশের অতিরিক্ত ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা আরো এক বছর বহাল রাখা হচ্ছে।

যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে

২০২৩-২৪ অর্থ বছেরের বাজেটে বেশ কিছু পণ্যে শুল্ক আরোপ বা আগের চেয়ে বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। যার ফলে দামি গাড়ি, বাইসাইকেল, নির্মাণ সামগ্রী, জমি ও ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন, সিগারেট, বাসমতি চাল, কাজুবাদাম, সোনা, খেজুর, সিমেন্ট, রড, বিদেশি আঠা বা গ্লু, ভ্রমণ খরচ, প্লাস্টিকের গৃহস্থালি পণ্য, ফ্রিজ, ফ্যান , এক্সেলেটর, টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যার, টিস্যু, ন্যাপকিন, কোমল পানীয়, ওভেন, কলম, চশমা ও এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

২০২৩- ২৪ অর্থ বছরের ঘোষিত বাজেটের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

‘উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’ এই শিরোনামে ২০২৩ – ২০২৪ অর্থবছরের জন্য  বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ডিজিটাল বাংলাদেশের উপরের ধাপ হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ।

আর স্মার্ট বাংলাদেশের প্রথম ধাপ হিসেবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী। যা কিনা মোট জিডিপির ১৫ দশমিক ২ শতাংশ। উচ্চপ্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা নিয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রাক্কলন করা হয়েছে এইবারের বাজেটে। ঘোষিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ শতাংশ।

ঘোষিত এই বাজেট বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, প্রথম ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছিলেন। বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের ঘোষিত এটি পঞ্চম বাজেট এবং আওয়ামী লীগ সরকারের এটি ২৪তম বাজেট।

বিভিন্ন খবরে প্রকাশ হয়েছে,  আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। যা কিনা চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ১ লাখ ১ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা বেশি। বাজেটের ঘোষিত ব্যয় মেটাতে মোট আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। এই লক্ষ্যমাত্রা ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় ৬৭ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা বেশি। ঘোষিত ২৪ তম বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা।

২০২৩ -২০২৪ অর্থবছরে করমুক্ত আয়ের সীমা চলতি অর্থবছরের তুলনায় ৫০ হাজার টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

ঘোষিত ২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশের ঘরে রাখা হয়েছে। টাকার অঙ্কে ঘাটতি বাজেটের পরিমাণ (অনুদানসহ) ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। ঘাটতি মেটাতে বিদেশি ঋণ বাবদ ধরা হয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। সরকার অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন খাত থেকে ঋণ হিসাবে ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ঋণের মধ্যে সরকার ব্যাংক ব্যবস্থাপনা থেকে ঋণ নিতে পারে ১ লাখ ২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা, আর সঞ্চয়পত্র বিক্রির মাধ্যমে নেবে ১৮ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে নেবে ৫ হাজার কোটি টাকা।

আয়করের ক্ষেত্রে পুরুষ করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ এবং নারী ও ৬৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সের করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সর্বনিম্ন করহার ৫ শতাংশ ও সর্বোচ্চ করহার ২৫ শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

মূল্যস্ফীতি ও জিডিপি

২০২৩ -২৪ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে খবরে প্রকাশ হয়েছে। তাই,  সরকার যেভাবেই হোক আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির লাগাম ৬ শতাংশের মধ্যে টেনে রাখতে চায়। নতুন অর্থবছরের জিডিপি হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭.৫ শতাংশ। মোট জিডিপির পরিমাণ ধরা হয়েছে ৫০ লাখ ৬ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা।

DMCA.com Protection Status