Breaking News
Home / বাণিজ্যিক ব্যাংক

বাণিজ্যিক ব্যাংক

চালু হতে যাচ্ছে ব্যাংকাসুরেন্সঃ ব্যাংক এবং ইন্সুরেন্স

বাংলাদেশ ব্যাংক, সম্প্রতি দেশে কর্মরত ব্যাংকগুলোকে ব্যাংকাসুরেন্স কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছে। ব্যাংকাসুরেন্স হলো একটি প্রক্রিয়া যেখানে ব্যাংক, ইন্সুরেন্স কোম্পানীর ইন্সুরেন্স পলিসি বিক্রয় করতে পারবে। মূলত দেশে ইন্সুরেন্সের পরিমান বৃদ্ধি করার জন্যই এই উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। ব্যাংরে মাধ্যমে ইন্স্যুরেন্স ইস্যু করা হলে জনগণের আস্থা তৈরী হতে পারে তাই ব্যাংকাসুরেন্স-এর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রিয় ব্যাংক সম্প্রতি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে এই নির্দেশনা প্রদান করেছে। ব্যাংকগুলো ইন্সুরেন্স কোম্পানীর কর্পোরেট পার্টনার হিসাবে কাজ করবে এবং তাদের কাজের বিনিময়ে ইন্সুরেন্স কোম্পানীর নিকট হতে নির্দিষ্ট পরিমানে কমিশন গ্রহন করবে। ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীগুলোকে ইন্স্যুরেন্স উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ( ইদ্রা) এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা প্রদান করবে। খবরে প্রকাশ হয়েছে যে, ইদ্রা খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে একটি সার্কুলার করবে।

আশা করা হচ্ছে আগামী ১লা মার্চ ২০২৪ হতে দেশে ব্যাংকাসুরেন্স চালু হবে। ১ লা মার্চ জাতীয় ইন্স্যুরেন্স দিবস পালিত হয়ে আসছে। তাছাড়া ব্যাংক এবং ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীগুলোর প্রস্তুতির জন্য সময় লাগতে পারে। অনেক আলাপ আলোচনার পর বাংলাদেশে ব্যাংকাসুরেন্স প্রক্রিয়া চালু হতে যাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, ব্যাংকাসুরেন্স চালু হলে ইন্স্যুরেন্স সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ইন্সুরেন্স খাতে অনেক পিছিয়ে আছে। তবে, জানা গেছে, ফায়ার ইন্সুরেন্স, মেরিন হাল এবং মেরিন কার্গো ইন্স্যুরেন্স – যা মোট নন লাইফ ইনসুরেন্স-এর ৮০ শতাংশ ধারণ করে – তা এই ব্যাংকাসুরেন্স হতে আপাতত বাদ রয়েছে।

বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ হাজার ২০০ এর মতো ব্যাংকের শাখা রয়েছে। এই ব্যাংক শাখাগুলোর মাধ্যমে ইন্সুরেন্স ইস্যু করা গেলে দেশে ইনসুরেন্সধারী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের বীমাখাত ভালো করতে পারবে।

বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

ব্যাংক আমানতের সুদের হারের সীমা থাকছে না, নিজস্ব ব্যবসা বিবেচনায় সুদের হার

বাংলাদেশ ব্যাংক, ব্যাংকগুলোর আমানতের সুদের/মুনাফার হারের বিষয়ে বিআরপিডি সার্কুলার নং-১৭, তারিখ: ০৮ আগস্ট ২০২১ এর বিষয়ে নির্দেশনা করে আর গত ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে এ বিষয়ে নতুন সার্কুলার জারী করে, ব্যাংকগুলোর নিকট পাঠিয়ে দেয়। ২০২১ সালের সার্কুলারের মাধ্যমে বলা হয় যে, আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা এবং ব্যাংকিং খাতে দায়-সম্পদ এর ভারসাম্যহীনতা রোধকল্পে ৩ মাস ও তদুর্ধ্ব মেয়াদী ব্যক্তি পর্যায়ের আমানত এবং বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, অবসরোত্তর পাওনাসহ বিবিধ পাওনা পরিশোধের লক্ষ্যে গঠিত তহবিল বাবদ রক্ষিত যে কোনো পরিমাণ মেয়াদী আমানতের উপর সুদ/মুনাফা হার মূল্যস্ফীতি হার অপেক্ষা কোনোক্রমেই কম নির্ধারণ করা যাবে না মর্মে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

২০২১ সালের ৮ আগস্ট জারি করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমানত সংগ্রহের ক্ষেত্রে সুদহারের সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশনা অনুসারে মেয়াদি আমানতের সুদহার মূল্যস্ফীতির নিচে রাখতে পারবে না কোনো ব্যাংক। তখন ঋণ বিতরণের সর্বোচ্চ সুদের হার ছিল ৯ শতাংশ। তবে গত জুলাই থেকে ঋণের বাজারভিত্তিক সুদহার ব্যবস্থা চালু হওয়ার কারণে আমানতের সুদহারের নিম্নসীমা-সংক্রান্ত ২০২১ সালের আগস্টের প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে।

 গত ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখের সার্কুলারে বলা হয়,  বর্তমানে ব্যাংক কর্তৃক বিতরণকৃত ঋণের বাজার ভিত্তিক সুদহার ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রেক্ষিতে ২০২১ সালের সার্কুলারে নির্দেশিত আমানতের সুদহারের নি¤œসীমার আবশ্যকতা নেই। তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে, ব্যাংক কর্তৃক সংগৃহীত আমানতসমূহের সুদহার স্বীয় বিবেচনায় নির্ধারণের লক্ষ্যে নতুন সার্কুলার জারী করা হয়। অর্থাৎ ব্যাংকগুলো এখন তাদের ব্যবসা বিবেচনা নিয়ে নতুন করে আমানতের সুদহার নির্ধারণ করতে পারবে। বর্তমান সার্কুলার দ্বারা বিআরপিডি সার্কুলার নং-১৭, তারিখ: ০৮ আগস্ট ২০২১ এর নির্দেশনা রহিত করা হয়।

দেশের মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাংক আমানতের সুদহার নির্ধারণের নীতিমালা বাতিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন ব্যাংক চাইলে যেকোনো সুদে আমানত সংগ্রহ করতে পারবে। মূলত আমানত সংগ্রহের ক্ষেত্রেও বাজারভিত্তিক সুদহার পদ্ধতি চালুর লক্ষ্যে আমানতের সুদহারের নিম্নসীমা প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

সূত্রঃ ব্যাংলাদেশ ব্যাংক ও বিভিন্ন পত্রিকা

টেকসই রেটিং ২০২২ পেল ৭ ব্যাংক ও ৪ আর্থিক প্রতিষ্ঠান

তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংক, দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) সাসটেইনেবল রেটিং প্রকাশ করেছে। রিপোর্টে চারটি সূচকে উত্তীর্ণ হওয়া সাতটি ব্যাংক ও চার আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্থান পেয়েছে। আগের দই বারের দুটি রেটিংয়ে অবশ্য স্থান পেয়েছিল ১০টি করে ব্যাংক ও পাঁচটি করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

সাসটেইনেবল রেটিং-২০২২ তে স্থান পাওয়া ব্যাংকগুলো হলো ব্র্যাক ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, দ্য সিটি ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)। ব্র্যাক ব্যাংক ও দ্য সিটি ব্যাংক ২০২১ সালে সাসটেইনেবল  রেটিংয়েও স্থান পেয়েছিল। অন্য পাঁচটি ব্যাংক ২০২২ সালে নতুন করে সাসটেইনেবল রেটিং –এ স্থান পেয়েছে। ২০২১ সালের রেটিংয়ে ব্যাংক এশিয়া, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক ও সাউথইস্ট ব্যাংকের নাম আসলেও ২০২২  সালের রিপোর্টে তারা বাদ পড়েছে।

চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান রেটিং- এ স্থান পেয়েছে ।  তারা হলো অগ্রণী এসএমই ফাইন্যান্সিং কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড, আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড ও লংকান অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে লংকান অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের নাম এবার নতুন করে রেটিংয়ে এসেছে। অন্য তিনটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ২০২১ সালে প্রকাশিত রেটিং-ও  স্থান পেয়েছিল। ২০২১ সালে প্রকাশিত রেটিংয়ে স্থান পাওয়া বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচারাল ফাইন্যান্স ফান্ড (বিআইএফএফ) লিমিটেড ও আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড ২০২২ সালে বাদ পড়েছে।

টেকসই অর্থায়ন নির্দেশক (Sustainable Finance Indicator) সবুজ পুনঃঅর্থায়ন ( Green finance), সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম (CSR) ও মূল ব্যাংকিং কার্যক্রমের টেকসই সক্ষমতা (Core Banking Sustainability) সূচকের ভিত্তিতে সাসটেইনেবল রেটিং প্রণয়ন করে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রকাশিত খবরে জানা গেছে,  ব্যাংকগুলোর মধ্যে সুশাসন, শুদ্ধাচার ও সামাজিক দায়বদ্ধতা পালনে অনুপ্রাণিত করতে সাসটেইনেবিলিটি রেটিং প্রণয়ন করা হচ্ছে। রিপোর্ট তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগ। খবরে প্রকাশিত হছে যে, এই রিপোর্ট তৈরীর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের  ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ, অফসাইট সুপারভিশন বিভাগ, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের সহযোগিতা নেয়া হয়েছে। সবক’টি সূচকে যে সকল উত্তীর্ণ হতে পেরেছে, এবারের তালিকায় সেই সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নাম এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগ থেকে ২০২০ সালে দেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স পলিসির নির্দেশনা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (Sustainable Development Goal (SDG)) ভিত্তিতে সাসটেইনেবিলিটি রেটিং প্রণয়নের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।  সে মোতাবেক  ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো সাসটেইনেবল রেটিং-২০২০-এর শীর্ষ ১০ ব্যাংক ও পাঁচ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নাম আসে।  ২০২২ সালে একইভাবে ২০২১ সালের রেটিং প্রকাশ করা হয়। ।

সূত্রঃ বণিকবার্তা ও বিভিন্ন পত্রিকা

জুন মাসে ব্যাংকিংখাতে আমানত বেড়েছে ৩১ হাজার কোটি টাকা

বাংলাদেশে ব্যাকিংখাতে গত জুন মাসে এক মাসের ব্যবধানে আমানত বেড়েছে ৩১,১৮১ কোটি টাকা যা গত অর্থবছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য হতে জানা যায়,  চলতি অর্থবছরের জুন শেষে দেশে বিদ্যমান ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকা। যা কিনা আগের মে মাস শেষে ছিল ১৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা।

ব্যাংকিং খাতের বিশেষজ্ঞগণ মনে করছেন আমানত বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলো নতুন মুনাফার হার, যা কিনা আগের চেয়ে বেশি। তাছাড়া জুনে দেশে সবোর্চ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল সেগুলোও টাকায় রূপান্তর হয়ে আমানতে যোগ হয়েছে।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশে ব্যাংকিংখাতে আমানত কমেছে ১,৩৯৮ কোটি টাকা । ফেব্রুয়ারী মাস হতে প্রত্যেক মাসে আমানত প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। আর গত এপ্রিল মাসে ব্যাংখগুলোতে আমানতে বেড়েছে প্রায় ২৪,৯০২ হাজার কোটি টাকা । মে মাসে আমানত বেড়েছে ১৫,৮৮১ কোটি টাকা।

আর সর্বশেষ জুন মাসে এসে ব্যাংকগুলোতে আমানত বেড়েছে ৩১,১৮১ কোটি টাকা, যা ব্যাংকিং ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বলে বলা হচ্ছে।  ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ব্যাংকগুলোতে আমানত বাড়ে ৩৪,১৩২ কোটি টাকা- যা কিনা এ যাবৎকালের সবোচ্চ।

গ্রাহকেরা কনভেনশনাল বা মূলধারার ব্যাংকগুলোতে টাকা জমা করছেন বেশি । কারণ, কনভেনশনাল ব্যাংকগুলোতে এখনো বড় ধরনের কেলেংকারির ঘটনা ঘটেনি বলে অনেকে মনে করছেন। ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে  দেশে ২০২২ সালের মে মাসে শেষে ব্যাংকের বাইরে টাকার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ২৫ হাজার কোটি।  আর চলতি বছরের মে মাসে ব্যাংকের বাইরে টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা। আর  জুন  মাস শেষে এর পরিমাণ দেখা গেছে ২ লাখ ৯১ হাজার কোটি টাকা।

সুতরাং, অভিজ্ঞজন মনে করছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন টাকা বাজারে প্রবেশ করার কারণে নতুন করে টাকার পরিমাণ বেড়েছে। যা ব্যাংকে নতুন করে যোগ হচ্ছে বলেও মনে করেন ব্যাংকাররা। অন্যদিকে  বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষে আমানত এর পরিমাণ বাড়লেও অর্থবছর শেষে ৮.৪৪% প্রবৃদ্ধি হয়েছে । আর ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮.৯০% ।

বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

সূত্রঃ দি বিজনেজ স্ট্যান্ডার্ড।

DMCA.com Protection Status