Breaking News
Home / admin

admin

বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার

বিগত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে)বাংলাদেশ ৩ হাজার ৭৩৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করেছে । এ সময় আমদানি হয়েছে ৫ হাজার ৭৫৬ কোটি ডলারের পণ্য। এতে অর্থবছরের ১১ মাসে ২ হাজার ২২ কোটি বা  প্রায় ২০.২২ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ।  তবে,  ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময় বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২৬ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যের (ব্যাল্যান্স অব পেমেন্ট) এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ১১ মাসে চলতি হিসাবে ঘাটতি ৫৯৮ কোটি  মার্কিন ডলার। পূর্বের  অর্থবছরে একই সময়ে এ ঘাটতি ছিল ১ হাজার ২০২ কোটি ডলার। জুলাই-মে মাসে সামগ্রিক লেনদেন যা কিনা ঋণাত্মক, তার  পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৮৮ কোটি ডলার। এই সূচকটি আগের বছর একই সময় ঘাটতি ছিল ৮৮০ কোটি ডলার।

সাধারণত  সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি বেড়ে যাওয়ার অর্থ হলো বিভিন্ন উৎস থেকে দেশে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আসছে, তার চেয়ে বেশি পরিমান অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পরিশোধ ঝুঁকি এড়াতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রচুর পরিমাণ ডলার বিক্রি করছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী গত অর্থবছর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ১ হাজার ২৬৯ কোটি ডলার বা ১২ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৫৮ কোটি ডলার বা ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছিল। আর ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয় ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন বা ৭৬২ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে ৩ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে ৩৩ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের  প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী,  বর্তমান অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ২ হাজার ১৩৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আগের বছর একই সময় পাঠিয়েছিলেন ১ হাজার ৯৪১ কোটি ডলার। রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) কমেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-মে বাংলাদেশ ৪০৭ কোটি ডলারের এফডিআই পেয়েছিল। গত অর্থবছরের একই সময় সেখানে এসেছে ৩৮১ কোটি ডলার। বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে সরাসরি মোট যে বিদেশি বিনিয়োগ আসে তা থেকে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান মুনাফার অর্থ নিয়ে যাওয়ার পর যেটা অবশিষ্ট থাকে সেটাকে নেট এফডিআই বলা হয়।

তবে, আলোচ্য অর্থবছরে নেট বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে। এই সূচকটি আগের বছরের চেয়ে দশমিক ৩ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ১৫৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার হয়েছে। আগের অর্থবছরে নেট বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ১৫০ কোটি ২০ লাখ ডলার।

বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

মেয়াদি ঋণের কিস্তি পুনঃনির্ধারণ করলো কেন্দ্রিয় ব্যাংক

ঋণের সুদহার নির্ধারণ সংক্রান্ত ০৮ মে ২০২৪ তারিখে জারিকৃত বিআরপিডি সার্কুলার নং-১০ এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানানো হয়েছে যে, আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা অনুসরণ করে ব্যাংক ঋণের সুদহার সম্পূর্ণরূপে বাজারভিত্তিক করার লক্ষ্যে ব্যাংকিং খাতে ঋণের চাহিদা ও ঋণযোগ্য তহবিলের যোগান সাপেক্ষে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণের সুদহার নির্ধারণ করার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বিদ্যমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে SMART ভিত্তিক এবং বাজারভিত্তিক সুদহার

উভয়ক্ষেত্রে ০১ জুলাই ২০২৩ এর পূর্বের নির্ধারিত সুদহার অপেক্ষা অধিক হওয়ায় শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং ব্যক্তিক পর্যায়ে গৃহ নির্মাণ ঋণ গ্রহীতাগণের প্রদেয় কিস্তির পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে কিস্তি প্রদানে গ্রাহকগণ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংক অবহিত হয়েছে। তাই, দেশের শিল্পায়ন ও রপ্তানির গতিধারা অক্ষুন্ন রাখা এবং সীমিত আয়ের ঋণগ্রহীতাদের ঋণ পরিশোধে সক্ষমতা বজায় রাখার নিমিত্তে বিদ্যমান মেয়াদি শিল্প ঋণ ও গৃহনির্মাণ ঋণের কিস্তির পরিমাণ বৃদ্ধি না করে মেয়াদ পুনর্বিন্যাসের বিষয়টি বিবেচনার আবশ্যকতা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক, তাই দেশের ব্যাংক কোম্পানীগুলোকে ০১ জুলাই ২০২৩ তারিখের পূর্বে বিতরণকৃত মেয়াদি শিল্প ঋণ (Industrial loan) এবং ভোক্তা ঋণের আওতায় প্রদত্ত গৃহ ঋণ (Housing Finance) এর কিস্তি আদায়ের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত নির্দেশনা প্রদান করেছেঃ

ক) বিআরপিডি সার্কুলার নং-১০/২০২৪ অনুযায়ী নির্ধারিত সুদহার আরোপযোগ্য হবে। তবে ০১ জুলাই ২০২৩ তারিখের অব্যবহিত পূর্বে ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত কিস্তির পরিমাণ অপরিবর্তিত রেখে ঋণের কিস্তি আদায় করতে হবে;
খ) উপরোক্ত অনুচ্ছেদ নং-(ক) মোতাবেক কিস্তি আদায়ের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাবে। এরূপ আদায়ের ক্ষেত্রে মেয়াদ বৃদ্ধি করা হলে তা বিআরপিডি সার্কুলার নং-১৬/২০২২ এর আওতায় ঋণ পুনর্গঠন হিসেবে গণ্য হবে না;
গ) বেতনভোগী চাকুরিজীবীগণ কর্তৃক তাদের বেতনের বিপরীতে গৃহীত ঋণের ক্ষেত্রে উক্ত গ্রাহকের চাকুরি হতে অবসর গ্রহণের সময়সীমার মধ্যে ব্যাংক তাদের নিজস্ব বিবেচনায় ঋণের অর্থ পরিশোধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে;

ঘ) ৩১ মার্চ ২০২৪ তারিখে অশ্রেণিকৃত রয়েছে এমন ঋণ হিসাবসমূহ উল্লিখিত সুবিধার আওতাভুক্ত হবে;
ঙ) কোনো রূপান্তরিত মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে না; চ) বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকার কর্তৃক প্রণীত/গঠিত কোনো প্রণোদনা প্যাকেজ/বিশেষ তহবিলের আওতায় প্রদত্ত ঋণের ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না; এবং
ছ) ব্যাংক কর্তৃক বর্ণিত সুবিধা প্রাপ্তির যোগ্য সকল ঋণ গ্রহীতাদের এ বিষয়ে অবহিতকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

তবে, এ সুবিধা গ্রহণের জন্য ইচ্ছুক ঋণগ্রহীতাকে ব্যাংকে লিখিত আবেদন করতে হবে। ঋণগ্রহীতার আবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে এ সুবিধা প্রদান করতে হবে।

বিস্তারিত জনাতে এখানে ক্লিক করুন

Memorandum of Association  বা স্মারক সংঘ বা স্মারকলিপি সম্পর্কে জানুন

Memorandum of Association  বা স্মারক সংঘ বা স্মারকলিপি হলো কোম্পানীর মূল দলিল। এর উপর ভিত্তি করেই দাড়িয়ে থাকে কোম্পানীর মূল বিষয়াবলী। এটিকে কোম্পানীর সংবিধান বলা হয়। এই সংবিধানের মাধ্যমেই কোম্পানীর কার্মক্ষেত্র এবং ক্ষমতার সীমা নির্ধারণ করা হয়। ফলে Memorandum of Association  বা স্মারক লিপির ক্ষমতা দ্বারা সীমায়িত ক্ষমতার বাইরে কোন কোম্পানী কাজ করতে পারে না।

কোম্পানী আইনের ২ (১) (ফ) স্মারকলিপি সম্পর্কে বলা হয়েছে, Memorandum means memorandum of Association of a company as originally framed or as altered from time to time in pursuance of any previous companies law or of this act. অর্থাৎ স্মারক লিপি বলতে সেই স্মারকলিপিকেই বুঝাবে যা প্রথমে প্রণীত হয়েছিল এবং কোন পরিবর্তন হলে কোম্পানী আইনের বিধান অনুসারে পরিবর্তিত হয়।

প্রকৃত পক্ষে “Memorandum of Association  বা স্মারক লিপি হলো কোম্পানীর সনদ যা আইনের বলে গঠিত কোন কোম্পানীর ক্ষমতার সীমা নির্দেশ করে। ”

স্মারক লিপির মূল উদ্দেশ্য দ্বিমুখী, যেমন প্রথমত শেয়ারহোল্ডারগণের দৃষ্টিকোণ থেকে আর দ্বিতীয়ত হলো তৃতীয় পক্ষের দৃষ্টিকোন থেকে। শেয়ারহোল্ডারের দৃষ্টিকোন থেকে অর্থ হলো , শেয়ার কেনার জন্য যে অর্থ বিনিয়োগ করবেন, সে অর্থ কোথায়, কিভাবে এবং কি পরিমান ঝুকিতে বিনিয়োগ হচ্ছে বা হবে তা কোম্পানীর Memorandum of Association  বা স্মারক লিপি দেখে বুঝা যাবে। তৃতীয় পক্ষের দৃষ্টিকোন থেকে অর্থ হলো , যারা কোন কোম্পানীর সাথে চুক্তি করতে চায়, তারা Memorandum of Association  বা স্মারক লিপি দেখে বুঝতে পারবে কোম্পানীর চুক্তি করার বৈধতা আছে কিনা।

Memorandum of Association  বা স্মারক লিপি মুদ্রিত এবং স্বাক্ষরিত হতে হবে। প্রাইভেট কোম্পানী এবং পাবলিক কোম্পানীর ক্ষেত্রে যথাক্রমে ২ (দুই) জন এবং ০৭ (সাত) জন সদস্য কর্তৃক স্মারকলিপি স্বাক্ষরিত হতে হবে।

শেয়ারদ্বারা সীমিত দায়সম্পন্ন কোম্পানীর স্মারকলিপির বিষয়বস্তুতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো থাকতে হয়

১. কোম্পানীর নাম

২. কোম্পানীর অবস্থান ও ঠিকানা

৩. কোম্পানী গঠনের উদ্দেশ্য

৪. মূলধন

৫. কোম্পানীর দায়

৬. সম্মতি

যখন কোন ব্যবসা লিমিটেড কোম্পানীতে পরিণত হয়, তখন ঐ কোম্পানীর নামের শেষে ‘লিমিটেড’ শব্দ লিখতে হয়। সকল ব্যবসায়িক কাজে লিমিটেড শব্দ লিখে ব্যবসা করতে হবে।

যদি কোম্পানী কোন চুক্তি করার সময়  ‘লিমিটেড’ শব্দটিকে বাদ দেয় তবে কোম্পানীর কর্মকর্তাগণ এরুপ চুক্তির ফলে ক্ষয়ক্ষতির দায় ভোগ করবেন। তবে, Limited বা লিমিটেড শব্দটি পূর্ণ ব্যবহার না করে সংক্ষিপ্তভাবে লিঃ বা ltd লেখা যায়।

স্মারক লিপির পরেই পরিমেল নিয়মাবলী বা সংঘবিধি হলো কোম্পানীর দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ দলিল। কোম্পানীর অভ্যন্তরীণ পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত যাবতীয় নিয়মাবলী পরিমেল নিয়ামাবলীতে লিপিবদ্ধ করা হয়। প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে নিয়োজিত বিভিন্ন ব্যক্তির ক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও সম্পর্কের দিক নির্দেশনার জন্য  পরিমেল নিয়মাবলীর উপর নির্ভর করতে হয়। পরিমেল নিয়মাবলী স্মারক সংঘের অধীনে কাজ করে থাকে।

কোম্পানীর মূলধন পরিবর্তন, সাধারন সভা আহবান, লভ্যাংশ বন্টন, অবসায়ন ইত্যাদি কোম্পানীর অভ্যন্তরীণ বিষয়াদি  পরিমেল নিয়মাবলীতে স্থান পায়।

পরিমেল নিয়মাবলী হলো কোম্পানীর দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ দলিল যার মধ্যে কোম্পানীর অভ্যন্তরীণ পরিচালনার জন্য সকল প্রকারের প্রয়োজনীয় নিয়মকানুন লিপিবদ্ধ করা থাকে। কোন কোম্পানীর পরিমেল নিয়মাবলীতে যে সকল বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে তা নিচে দেওয়া হলোঃ

ক. দৈনন্দিন কাজ পরিচালনা

খ. পরিচালক সংক্রান্ত নিয়মাবলী

গ. অন্যান্য কর্মকর্তা বা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ সংক্রান্ত নিয়মাবলী

ঘ. শেয়ারহোল্ডার সংক্রান্ত নিয়মাবলী

ঙ. শেয়ার সংক্রান্ত নিয়মাবলী

চ. মূলধন সংক্রান্ত বিষয়াদি

ছ. লভ্যাংশ সংক্রান্ত নিয়মাবলী

জ. হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষণ পদ্ধতি

ঝ. সভা সংক্রান্ত নিয়মাবলী

ঞ. কোম্পানীর ঋণ গ্রহনের ক্ষমতা ও পদ্ধতি

ত. সংরক্ষিত তহবিল গঠন ও ব্যয়ের পদ্ধতি

থ. কোম্পানীর  বিলোপ সাধন সংক্রান্ত নিয়মাবলী।

শেয়ার দ্বারা সীমাবদ্ধ দায়সম্পন্ন কোম্পানী , কোম্পানী আইনে বর্ণিত পরিমেল নিয়মাবলীর নমুনা Table A গ্রহন করতে পারে। কিন্তু সীমাহীন দায়সম্পন্ন কোম্পানী , প্রতিশ্রুতি দ্বারা দায় সীমাবদ্ধ কোম্পানী ও প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানীর ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র পরিমেল নিয়মাবলী তৈরী এবং ঐ পরিমেল নিয়মাবলী, কোম্পানী নিবন্ধকের নিকট দাখিল বাধ্যতামূলক।

ব্যাংক একাউন্টের নমিনীর আদ্যোপান্ত জানুন

ব্যাংক কোম্পানী ।আইন ১৯৯১ এর ১০৩ ধারার ০১ উপধারায় কোন আমানত ব্যাংকে রাখলে আমানতী অর্থ পরিশোধের জন্য মনোনায়ন দানের কথা বলা হয়েছে।  উক্ত আইনে বলা হয়েছেঃ ব্যাংক কোম্পানীর নিকট রক্ষিত কোন আমানত যদি একক ব্যক্তি বা যৌথভাবে একাধিক ব্যক্তির নামে জমা থাকে, তাহা হইলে উক্ত একক আমানতকারী এককভাবে বা, ক্ষেত্রমত, যৌথ আমানতকারীগণ যৌথভাবে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, এমন একজন বা একাধিক ব্যক্তিকে মনোনীত করিতে পারিবেন যাহাকে বা যাহাদিগেকে একক আমানতকারী বা যৌথ আমানতকারীগণের সকলের মৃত্যূর পর আমানতের টাকা প্রদান করা যাইতে পারেঃ

তবে শর্ত খাকে যে, উক্ত আমানতকারী বা যৌথআমানতকারীগণ যে কোন সময় উক্ত মনোনয়ন বাতিল করিয়া নির্ধারিত পদ্ধতিতে অন্য কোন ব্যক্তিকে বা ব্যক্তিবর্গকে মনোনীত করিতে পারিবেন।

মনোনীত কোন ব্যক্তি নাবালক হইলে তাহার নাবালক থাকা অবস্থায় একক আমানতকারীর বা যৌথ আমানতকারগণের মৃত্যুর ক্ষেত্রে আমানতের টাকা কে গ্রহণ করিবেন তৎসম্পর্কে উক্ত একক আমানতকারী বা যৌথ আমানতকারীগণ নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট করিতে পারিবেন।

 উক্ত আইনের উপধারা ৩ এ বলা হয়েছে, আপততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে বা কোন উইলে বা কোন সম্পত্তি বিলি বন্টনের ব্যবস্থা সম্বলিত অন্য কোন প্রকার দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যক্তিকে মনোনীত করা হইলে বা উপধারা ২ এর অধীনে কোন কোন ব্যক্তি নির্দিষ্ট হইলে তিনি একক আমানতকারী বা ক্ষেত্রমত  যৌথ আমানতকারীগণের সকলের মৃত্যুর পর, উক্ত আমানতের ব্যাপারে একক আমানতকারীর বা ক্ষেত্রমত সকল আমানতকারীর যাবতীয় অধিকার লাভ করিবেন এবং অন্য যে কোন ব্যক্তি উক্ত অধিকার হইতে বহ্চিত হইবেন।

উক্ত ধারার ৪ উপধারায় বলা হয়েছেঃ এই ধারার বিধান অনুযায়ী কোন ব্যাংক কোম্পানী কর্তৃক টাকা  পরিশোধিত হইলে সংশ্লিষ্ট আমানত সম্পর্কিত উহার যাবতীয় দায় পরিশোধ হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

প্রশ্ন হচ্ছে, ব্যাংক হিসাব বা একাউন্ট করতে কি নমিনী করতে হবে ?

ব্যাংক কোম্পানী আইনের ১০৩ ধারা মোতাবেক ব্যাংক হিসাব বা একাউন্ট করতে হলে নমিনী করতে হবে।

আমার একাউন্টে কে কে নমিনী হতে পারবে অথবা আমি আমি কাকে নমিনী করতে পারবো ?

আপনি আপনার বাবা মা ভাই বোন, ছেলে মেয়ে আত্নীয় স্বজন সর্বোপরি বাংলাদেশের যে কোন সুস্থ্য মস্তিষ্কের ব্যক্তিকে নমিনী করতে পারবেন। তবে, আপনি মারা গেলে, যে আপনার সম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনা করতে পারবে, বা আপনি যে যে ইচ্ছা পোষন করে যাচ্ছেন, আপনার মৃত্যূর পর সে সকল ইচ্ছা যে ব্যক্তি পূরণ করতে পারবে, বা আপনি যাকে বেশি ভরসা করেনম তাকেই নমিনী করুন।

আমি কাকে নমিনী করতে পারবো ?

পূর্বেই বলা বলা হয়েছে, আপনি যে কাউকেই নমিনী করতে পারবেন। তবে, সে আপনার আত্নীয় স্বজন হতে হবে এমন নয়। আপনি বাংলাদেশের যে কোন সুস্থ্য মস্তিষ্কের ব্যক্তিকে নমিনী করতে পারবেন।

আপনি কতজনকে নমিনী করতে পারবেন ?

ব্যাংক কোম্পানী আইন ১৯৯১ , সর্বোচ্চ কতজনকে নমিনী করা যাবে, সে বিষয়ে সীমা উল্লেখ নাই। লেখা আছে, এক বা একাধিক ব্যক্তিকে নমিনী করতে পারবেন।

তবে, নমিনীর সংখ্যা কম রাখারই ভালো। যাকে নমিনী করবেন তাকে বলে দিন, আপনার মৃত্যুর পর আপনার টাকা কিভাবে ব্যবহার হবে। আপনার ইচ্ছার যে কোন ব্যত্যয় না হয়। আর আপনার ইচ্ছার পরিবর্তন করতে পারে এমন ব্যক্তিকে নমিনী না করাই ভালো।

আমি কি নাবালককে নমিনী করতে পারবো ?

আইন অনুসারে নাবালককেও নমিনী করা যায়। তবে, নাবালক সাবালক না হওয়া অবধি ঐ টাকা উঠাতে পারবে না। সেজন্য আইনে বলা আছে, নাবালককে নমিনী করা হলে আপনার মৃত্যুর পর নাবালকের হয়ে অন্য কোন ব্যক্তি আপনার টাকা উঠাতে পারবে, তা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ব্যাংককে জানাতে হবে।

একাধিক ব্যক্তিকে নমিনী করলে কে কত টাক পাবে ?

আপনি যখন একাধিক ব্যক্তিকে নমিনী করবেন, তখন কে কত টাকা বা আপনার টাকার কত অংশ কে পাবে তা নির্দিষ্ট করে দিন। আপনার নির্ধারিত অংশ মোতাবেক নমিনীগণ টাকা পাবেন।

আপনি যদি অংশ নির্ধারিত না করে দেন তাহলে কি হবে ?

নমিনী যদি একজন হয়, তবে তিনি আপনার টাকার ১০০% পাবেন। অর্থাৎ পুরো টাকাই পাবেন। আর নমিনী যদি একাধিক হয়, এবং আপনি যদি তাদের প্রাপ্য অংশ নির্ধারিত না করে দেন, তাহলে সকল নমিনী সমান অংশ পাবে।

ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপীর সংজ্ঞা নির্ধারণ করলো বাংলদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক বিআরপিডি সার্কুলার ০৬ তারিখ ১২ মার্চ ২০২৪ মারফত ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপীর সংজ্ঞা নির্ধারণ কওে দিয়েছে। সেই সঙ্গে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপী হলে কি কি  বাধার সম্মুখীন হতে হবে , তাও বলেছে কেন্দ্রিয় ব্যাংক। নিচে কেন্দ্রিয় ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপীর সংজ্ঞা তুলে ধরা হলো।

ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা বলতে  এমন কোনো খেলাপী ঋণ গ্রহীতা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কো¤পানীকে বুঝাবে যিনি বা যা- নিজের, তার পরিবারের সদস্যের, স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীর অনুকূলে কোনো ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে গৃহীত ঋণ, অগ্রিম, বিনিয়োগ বা অন্য কোন আর্থিক সুবিধা বা এর অংশ বা এর উপর আরোপিত সুদ বা মুনাফা ,  সামর্থ্য বা যোগ্যতা থাকা সত্তে¡ও পরিশোধ করেন না; বা

যিনি বা যারা কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে জালিয়াতি, প্রতারণা বা মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে নিজের, তার পরিবারের সদস্যের, স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীর নামে ঋণ, অগ্রিম, বিনিয়োগ বা অন্য কোন আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন অথবা

যিনি বা যারা , কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে যে উদ্দেশ্যে  তিনি ঋণ, অগ্রিম, বিনিয়োগ বা অন্য কোন আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছিলেন সে উদ্দেশ্য ব্যতীত  তিনি অন্য কোন উদ্দেশ্যে উক্ত ঋণ, অগ্রিম, বিনিয়োগ বা আর্থিক সুবিধা বা এর অংশ ব্যবহার করেছেন তিনি ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপী হবেন। তাছাড়াও যিনি বা যারা  ঋণ বা অগ্রিম এর বিপরীতে প্রদত্ত জামানত ঋণ বা অগ্রিম প্রদানকারী কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লিখিত পূর্বানুমতি ব্যতীত হস্তান্তর বা স্থানান্তর করেছেন তারাও ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী হবেন।

মেয়াদী ঋণের মেয়াদোত্তীর্ণ (Past due/Overdue) তারিখ পুনঃ নির্ধারণ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক।

ঋণ শ্রেণিকরণ ও প্রভিশনিং বিষয়ে বিআরপিডি সার্কুলার নং-০৩, তারিখ: ২১ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে যে সার্কুলার জারী করা হয়েছিল, তার পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে, ব্যাংকগুলোকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ হতে নতুন করে মেয়াদ হিসাব করতে হবে।

নতুন করে বলা হয়েছে যে, ২০১৯ সালের সার্কুলার মোতাবেক, একটি মেয়াদী ঋণের কোনো কিস্তি/কিস্তিসমূহ বা এর অংশবিশেষ নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে পরিশোধ করা না হলে, উক্ত অপরিশোধিত কিস্তি/কিস্তিসমূহ বা এর অংশবিশেষ যে তারিখে পরিশোধের জন্য নির্ধারিত থাকে সে তারিখ হতে পরবর্তী ০৬ (ছয়) মাস পর মেয়াদোত্তীর্ণ (Past due/Overdue) হিসেবে গণ্য করার নির্দেশনা প্রদান করা হতো। আর ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ হতে  ঋণ শ্রেণিকরণের আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার সাথে মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণ/বিনিয়োগের সংজ্ঞা সামঞ্জস্যপূর্ণ করার জন্যে নতুন নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে, যা দুটি ধাপে বাস্তবায়িত হবে। প্রধম ধাপে মেয়াদী ঋণ/বিনিয়োগের কোনো কিস্তি/কিস্তিসমূহ বা এর অংশবিশেষ নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে পরিশোধ করা না হলে, উক্ত অপরিশোধিত কিস্তি/কিস্তিসমূহ যে তারিখে পরিশোধের জন্য নির্ধারিত থাকবে সে তারিখ হতে পরবর্তী ০৩ (তিন) মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পর মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে গণ্য হবে, যা ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ হতে কার্যকর হবে  বলে বলা হয়েছে।

আর দ্বিতীয় ধাপে  ৩১ মার্চ ২০২৫ তারিখ ও তৎপরবর্তীতে একটি মেয়াদী ঋণ/বিনিয়োগের কোনো কিস্তি/কিস্তিসমূহ বা এর অংশবিশেষ নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে পরিশোধ করা না হলে, যে তারিখে পরিশোধের জন্য নির্ধারিত থাকবে সে তারিখের অব্যবহিত পরবর্তী দিন হতে তা মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণ/বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হবে।

ফলে, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ হতে মেয়াদী ঋণের মেয়াদোত্তীর্ণ (Past due/Overdue) হিসাবায়নে নতুন ধারায় ফিরবে ব্যাংক গুলো।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ যেমন সিটি কর্পোরেশন, জেলা ,উপজেলা , ইউনিয়ন পরিষদ , পৌরসভার যে কোন আমানতের উপর ২০% হারে উৎসে কর কর্তন করার নির্দেশনা জারী

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলতে কি বুঝায়?

আয়কর আইন ২০২৩ অনুযায়ী স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কোম্পানী হিসাবে বিবেচিত হবে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলতে, সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং  ইউনিয়ন পরিষদ কে বুঝাবে। এই সকল স্থানীয় কর্তৃপক্ষের যে কোন প্রকারের আমানতের উপর সুদ বা মুনাফা প্রদানের সময় প্রদত্ত সুদ বা মুনাফার উপর ২০% হারে উৎসে কর কর্তন করতে হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিগত ৩১ মার্চ ২০২৪ তারিখে ০৮.০১.০০০০.০৩০.২২.০০৫.২০.৫৯ সংখ্যক পত্র দ্বারা এ বিষয়ে স্পষ্টীকরণ সার্কুলার জারী করেছে।

কত শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন করতে হবে?

আ্য়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ১০২(১) অনুযায়ী আয়কর আইন ,২০২৩ বা বাংলাদেশে বলবৎ অন্য কোন আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, বাংলাদেশে বসবাসকারী ( নিবাসী) ব্যক্তিকে কোন ব্যাংক, কোন কো অপারেটিভ ব্যাংক, ইসলামী নীতিমালা মোতাবেক পরিচালিত কোন ব্যাংক, নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বা কোন লিজিং কোম্পানী বা কোন হাউজিং ফাইন্যান্স কোম্পানী , কোন সঞ্চয়ী আমানত, স্থায়ী আমানত বা মেয়াদী আমানত বা অন্য কোন রকম বা প্রকার আমানতের বিপরীতে কোন বা মুনাফা প্রদান করলে, সুদ বা মুনাফা প্রদানের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি , সুদ বা মুনাফা , কোন ব্যক্তির হিসাবে ক্রেডিটের সময় অথবা সুদ বা মুনাফা পরিশোধের সময় , যেটি পূর্বে ঘটে , উৎসে কর কর্তনপূর্বক সরকারী কোষাগারে জমা করবেন। উক্ত সুদ বা মুনাফা যদি কোম্পানী করদাতা কর্তৃক গৃহীত হয়, তবে ২০% হারে উৎসে কর কর্তন করতে হবে। যেহেতু, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কোম্পানীর সংজ্ঞাভুক্ত, সেহেতু স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত সুদ বা মুনাফার ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তনের হার হবে ২০% । তবে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক, রিটার্ণ দাখিলের প্রমাণক উপস্থাপন করতে না পারলে তার ব্যর্থতায় ৫০% অতিরিক্ত হারে উৎসে কর কর্তন করা যাবে না।

অবলোপিত ঋণ আদায়ে ৫% প্রণোদণা এবং ঋণ কিভাবে অবলোপন করা যাবে

ব্যাংকের ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে অনাদায়ী ঋণ হিসাবসমূহকে বিদ্যমান নিয়মানুযায়ী বিরূপমানে শ্রেণিকরণপূর্বক করে তার বিপরীতে নির্ধারিত হারে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে অনাদায়ী হয়ে পড়ে থাকা এরূপ ঋণ হিসাবসমূহকে স্থিতিপত্রে প্রদর্শন করতে হয়। ফলে, ব্যাংকের স্থিতিপত্রের আকার অনাবশ্যক স্ফীত হয়। যার জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক ঐ সকল মন্দ ও ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত ঋণ অবলোপন করা হয়, যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি পদ্ধতি। তবে, অবলোপনযোগ্য ঋণ স্থিতির বিপরীতে প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয় । তাই, ব্যাংকের ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায়ও কোনো বিরূপ প্রভাব পড়ে না। তবে অবলোপনকৃত ঋণের উপর যেহেতু ব্যাংকের অধিকার অক্ষুন্ন থাকে সেহেত ুতা আদায় কার্যক্রমে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সরাসরি সম্পৃক্ত থাকা আবশ্যক বলে কেন্দ্রিয় ব্যাংক সার্কুলার জারি করেছে। তাই,  দেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য ঘোষিত কর্মকৌশল (জড়ধফসধঢ়) বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা অনুসরণ করত অনাদায়ী ঋণ হিসাব অবলোপন এবং অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের লক্ষ্যে কেন্দ্রিয় ব্যাংক ঋণ অবলোপন ও অবলোপিত ঋণ আদায়ের নীতিমালা জারি করেছে।

কিভাবে অবলোপনযোগ্য ঋণ হিসাব চিহ্নিতকরণ করা হবে : (১) যে সকল ঋণ হিসাব একাদিক্রমে ০২ (দুই) বছর মন্দ ও ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত রয়েছে সে সকল ঋণ হিসাব অবলোপন করা যাবে;

(২) ঋণের শ্রেণিমান যাই হোক না কেন কোনো মৃত ব্যক্তির নিজ নামে অথবা তাঁর একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে গৃহীত ঋণ হিসাব ব্যাংকগুলো তাদের নিজ নিজ বিবেচনায় অবলোপন করতে পারবে। তবে, একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির উপার্জনক্ষম উত্তরসূরি রয়েছে কিনা তা বিবেচনায় নিতে হবে।

কিভাবে ঋণ হিসাব অবলোপন পদ্ধতি গ্রহণ করা হবে:

(১) অবলোপনযোগ্য ঋণের বিপরীতে ব্যাংকের অনুক‚লে বন্ধকিকৃত সম্পত্তি (যদি থাকে) নিয়মানুগভাবে বিক্রয়ের প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হলে এবং ব্যাংকে নিশ্চয়তা প্রদানকারী ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গের নিকট হতে পাওনা অর্থ আদায়ে সমর্থ না হলে উক্ত ঋণ অবলোপনের আওতায় আনা যাবে

(২) অবলোপনের জন্য নির্বাচিত ঋণ হিসাবসমূহের ক্ষেত্রে পূর্বে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয়ে থাকলে অবলোপনের পূর্বে অবশ্যই অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ অনুযায়ী মামলা দায়ের করতে হবে। তবে অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ এর আওতায় অত্যাবশকীয়ভাবে মামলাযোগ্য না হলে ৫,০০,০০০.০০ (পাঁচ লক্ষ) টাকা পর্যন্ত ঋণ এবং মৃত ব্যক্তির নিজ নামে অথবা তাঁর একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে গৃহীত যে কোনো অংকের ঋণ মামলা দায়ের ব্যতিরেকে অবলোপন করা যাবে;

(৩) অবলোপনের পূর্বে সংশ্লিষ্ট ঋণ হিসাবের লেজার স্থিতি হতে শুধুমাত্র রক্ষিত স্থগিত সুদ বাদ দেয়ার পর অবশিষ্ট ঋণস্থিতির সমপরিমাণ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। এক্ষেত্রে অবলোপনের জন্য চিহ্নিত প্রতিটি ঋণ হিসাবের বিপরীতে রক্ষিত প্রভিশন পর্যাপ্ত না হলে ব্যাংকের চলতি বছরের আয় খাত বিকলন করে অবশিষ্ট প্রভিশন সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে;

(৪) কোনো ঋণ হিসাব আংশিকভাবে অবলোপন করা যাবে না; এবং

(৫) পরিচালনা পর্ষদের (বাংলাদেশে কার্যরত বিদেশী ব্যাংকের ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদের পরিবর্তে স্থানীয় সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের) অনুমোদন ব্যতিরেকে কোনো ঋণ হিসাব অবলোপন করা যাবে না।

কিভাবে অবলোপনকৃত ঋণ আদায় ও তদারকি করা হবে : (১) ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ২৮(ক) ধারা অনুযায়ী অবলোপনের পরও সংশ্লিষ্ট ঋণের উপর ব্যাংকের দাবী বহাল থাকবে। অবলোপন পরবর্তী সময়ে উক্ত অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে আইনগত প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে বলে কেন্দ্রিয় ব্যাংক জানিয়েছে;

(২) ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সরাসরি তত্ত¡াবধানে প্রধান কার্যালয়ে ‘অবলোপনকৃত ঋণ আদায় ইউনিট’ (ইসলামী শরীয়াহ্ ভিত্তিক ব্যাংকসমূহের ক্ষেত্রে ‘অবলোপনকৃত বিনিয়োগ আদায় ইউনিট’) নামে একটি পৃথক ইউনিট গঠন করতে হবে বলে কেন্দ্রিয় ব্যাংক জানিয়েছে;;

(৩) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার ২ ধাপ নীচে নন এরূপ একজন কর্মকর্তাকে অবলোপনকৃত ঋণ আদায় ইউনিটের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে বলে কেন্দ্রিয় ব্যাংক জানিয়েছে;;

(৪) উক্ত ইউনিটে ঋণ মঞ্জুরী কার্যক্রম, ঋণের ডকুমেন্টেশন ও ঋণ আদায়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের বহাল করতে হবে। তবে, ন্যূনতম ০১ জন আইন বিষয়ে ডিগ্রিধারী কর্মকর্তাকে এ ইউনিটে বহাল করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যে শাখা/বিভাগের অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ের কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে ঐ শাখা/বিভাগের সংশ্লিষ্ট একজন উপযুক্ত কর্মকর্তাকে আদায় কার্যক্রমে সংযুক্ত করতে হবে বলে কেন্দ্রিয় ব্যাংক জানিয়েছে;;

(৫) ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ/পুনঃনিয়োগকালে উক্ত পদের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ঞবৎসং ড়ভ জবভবৎবহপব (ঞড়জ) এ অবলোপনকৃত ঋণ আদায় সংশ্লিষ্ট শর্তাবলী অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বলে কেন্দ্রিয় ব্যাংক জানিয়েছে;;

(৬) অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সক্ষমতা/বাৎসরিক আদায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন তাঁর উক্ত পদে পুনঃনিয়োগের ক্ষেত্রে কর্ম উৎকর্ষতার অন্যতম মানদন্ড হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে কেন্দ্রিয় ব্যাংক জানিয়েছে;;

(৭) অবলোপনকৃত ঋণ আদায় অগ্রগতির বিষয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে অবলোপনকৃত ঋণ আদায় ইউনিট কর্তৃক মাসিক ভিত্তিতে সভা আয়োজন করতে হবে। সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ কার্যবিবরণী আকারে লিপিবদ্ধ করতে হবে বলে কেন্দ্রিয় ব্যাংক জানিয়েছে;;

(৮) অবলোপনকৃত ঋণ আদায় সম্পর্কিত অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রতি ত্রৈমাসিকে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থাপন করতে হবে বলে কেন্দ্রিয় ব্যাংক জানিয়েছে;;

(৯) ব্যাংকের পাওনা আদায়ে দায়েরকৃত মামলা দ্রæত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে দক্ষ এবং খেলাপী ঋণ আদায় সংক্রান্ত মামলা পরিচালনায় অভিজ্ঞ আইনজীবী নিয়োগসহ অন্যান্য আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;

(১০) অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যাংকের আইন বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তাসহ লিগ্যাল রিটেইনারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করবেন;

(১১) এ সার্কুলার জারির ১৫ দিনের মধ্যে অবলোপনকৃত ঋণ আদায় ইউনিট গঠনপূর্বক এ কার্যালয়কে অবহিত করতে হবে। এতদ্ব্যতীত, ইউনিট গঠনের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা উক্ত ইউনিটে বহাল করতে হবে;

(১২) অবলোপনকৃত ঋণের বিপরীতে আদায়কৃত অর্থের ৫% এর সমপরিমাণ অর্থ প্রণোদনা হিসেবে অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে বিতরণযোগ্য হবে। বিতরণযোগ্য অর্থের সর্বোচ্চ ১০% ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রাপ্য হবেন। অবশিষ্ট অর্থ অবলোপনকৃত ঋণ আদায় ইউনিটের প্রধানসহ উক্ত ইউনিটের অন্যান্য কর্মকর্তা প্রাপ্য হবেন। এতদ্ব্যতীত, যে শাখা/বিভাগের অবলোপনকৃত ঋণ আদায় করা হবে উক্ত শাখা/বিভাগের সরাসরিভাবে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাও ইউনিটের কর্মকর্তাদের অনুরূপ আনুপাতিক হারে প্রণোদনা প্রাপ্য হবেন; এবং

(১৩) ভবিষ্যতে এ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানী কার্যকর হলে ব্যাংকের স্বার্থ সংরক্ষণপূর্বক অবলোপনকৃত ঋণ বিক্রয় করা যাবে। সেক্ষেত্রে বিক্রয়ের বিপরীতে প্রাপ্ত অর্থ ব্যাংকের আয় খাতে স্থানান্তর করতে হবে।

অবলোপনকৃত ঋণ হিসাব রিপোর্টিং পদ্ধতি: (১) অবলোপনকৃত ঋণের হিসাব একটি পৃথক লেজারে সংরক্ষণ করতে হবে এবং ব্যাংকের আর্থিক বিবরণীতে ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (২০২৩ পর্যন্ত সংশোধিত) এর ৩৮ ধারায় বর্ণিত তফসিলের ‘আর্থিক বিবরণী প্রস্তুতির নির্দেশনা’ অনুযায়ী রিপোর্ট করতে হবে; (২) ঋণ অবলোপন করা হলেও সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা তাঁর ঋণের দায় পরিশোধ না করা পর্যন্ত যথানিয়মে খেলাপী ঋণগ্রহীতা হিসেবে চিহ্নিত হবেন। অবলোপনকৃত ঋণ হিসাবের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি)-তে ইখড হিসেবে যথারীতি রিপোর্ট করতে হবে; (৩) ঋণ অবলোপন সংক্রান্ত তথ্য বিআরপিডি সার্কুলার নং-০৪ তারিখ: ২৫ জানুয়ারি ২০১২ এর নির্দেশনা অনুযায়ী ক্সত্রমাসিক ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊউড ঢ়ড়ৎঃধষ ব্যবহার করে ঞথচঝথছথখঘজঊঈথজঊঈঙঠঊজণ টেমপ্লেট এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে যথারীতি দাখিল করতে হবে; এবং (৪) অবলোপনকৃত ঋণ আদায় ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষরসহ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা ক্ষেত্রমতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অনুপস্থিতিজনিত কারণে চলতি দ্বায়িত্বে কর্মরত কর্মকর্তার প্রতিস্বাক্ষরে অবলোপনকৃত ঋণ আদায় অগ্রগতি প্রতিবেদন (পরিশিষ্ট-‘ক’ এ বর্ণিত ফরম্যাট অনুযায়ী) প্রতি ক্সত্রমাস অন্তে পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগে দাখিল করতে হবে।

৬। অন্যান্য বিধি-নিষেধ: (১) অবলোপনকৃত ঋণ হিসাব পুনঃতফসিল বা পুনর্গঠন করা যাবে না। শুধু ঊীরঃ চষধহ এর আওতায় এরূপ ঋণ হিসাবের পরিশোধসূচি নির্ধারণ করা যেতে পারে। তবে, সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা তাঁর ঋণের দায় সম্পূর্ণ পরিশোধিত না হওয়া পর্যন্ত যথানিয়মে খেলাপী ঋণগ্রহীতা হিসেবে সিআইবি-তে রিপোর্টকৃত হবেন এবং উক্ত ঋণ/বিনিয়োগ হিসাবসমূহ মন্দ ও ক্ষতিজনক (সিআইবি-তে ইখড) হিসেবে শ্রেণিকৃত থাকবে; এবং

(২) ব্যাংকের পরিচালক বা পরিচালক থাকাকালীন ঐ ব্যক্তির নিজের/স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে গৃহীত ঋণ সাধারণভাবে অবলোপন করা যাবে না। তবে, উক্তরূপ গ্রাহকের মৃত্যুসহ অন্যান্য কারণে কোনো ঋণ হিসাব অবলোপনের আবশ্যকতা দেখা দিলে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগ কর্তৃক নিরীক্ষাকরত অবলোপনের প্রকৃত কারণ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। উক্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনান্তে হেড অব ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স (এইচআইসিসি) এর মতামতসহ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। এতদ্ব্যতীত, এ জাতীয় প্রতিটি ঋণ হিসাব অবলোপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সপক্ষে সমুদয় দলিলাদি ও কার্যবিবরণীসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ হতে পূর্বানুমোদন গ্রহণের জন্য আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত মর্মে বিবেচিত হবে। ৭। বিআরপিডি সার্কুলার নং-০১ তারিখ: ০৬ ফেব্রæয়ারি ২০১৯ এবং বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং-০১ তারিখ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৩ এতদ্বারা রহিত করা হলো। তবে, উক্ত রহিতকরণ সত্তে¡ও রহিতকৃত সার্কুলার ও সার্কুলার লেটারের আওতায় ইতঃপূর্বে কৃত/গৃহীত কার্যক্রম ক্সবধ বলে গণ্য হবে। ৮। ইসলামী শরীয়াহ্ ভিত্তিক ব্যাংকসমূহ উপরোক্ত নীতিমালা অনুসরণপূর্বক তাদের বিনিয়োগ হিসাব অবলোপন করতে পারবে।

জুলাই হতে অক্টোবর এই চার মাসে দেশে ৬৮৮ কোটি ৪৬ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছে

চলতি অর্থবছরের জুলাই হতে অক্টোবর এই চার মাসে দেশে ৬৮৮ কোটি ৪৬ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে। দেশে আসা এই প্রবাসী অর্থের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় এসেছে ঢাকা জেলায়, ২৩০ কোটি ১০ লাখ ডলার। আর সবচেয়ে কম প্রবাসী আয় এসেছে লালমনিরহাট জেলায় যার পরিমান ৫৬ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ জেলাভিত্তিক প্রবাসী আয়ের তথ্য  এ চিত্র তুলে ধরছে।  জানা গেছে,  দেশের আটটি বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোয় প্রবাসী আয়ের প্রবাহ সবচেয়ে বেশি অন্যদিকে রংপুর বিভাগে  প্রবাসী আয়ের হার সবচেয়ে কম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, গত অক্টোবর মাসে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে ১৯৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন।  জানা গেছে, এই বছরের গত জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে প্রবাসী আয় আসার পরিমাণ কমে গিয়েছিল। অবশ্য অক্টোবর মাসে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ আবার বৃদ্ধি পায়।

ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়াতে সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যাংকগুলোও প্রতি ডলারে আরো আড়াই শতাংশ হারে মোট পাচ শতাংশ  প্রণোদনা দিচ্ছে। ফলে প্রবাসীরা বৈধ পথে দেশে পাঠানো প্রতি ডলারের বিপরীতে ১১৫ টাকার বেশি টাকা পাচ্ছেন।  প্রতি ১০০ টাকায় ৫ টাকা বেশি পাচ্ছেন। অতিরিক্ত প্রণোদনার কারণে গত মাসে বেড়েছে প্রবাসী আয় বলে মনে করা হচ্ছে ।

আয়ে শীর্ষ পাঁচ জেলা

কেন্দ্রিয় ব্যাংকের তথ্য মতে, দেশে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে ঢাকা জেলাতে।  ঢাকা জেলার পরে রয়েছে যথাক্রমে চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা ও নোয়াখালী জেলার অবস্থান। ২২৩ সালের গত চার মাসে ঢাকা জেলায় ২৩০ কোটি ১০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে । চট্টগ্রাম জেলায় ৫৮ কোটি ৮৮ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছে। সিলেটে জেলায় এসেছে ৪০ কোটি ৫১ লাখ, কুমিল্লায় ৩৮ কোটি ৭০ লাখ ও নোয়াখালী জেলায় ২২ কোটি ৪৯ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছে।

সব মিলিয়ে জুলাই–অক্টোবর এই চার মাস সময়ে মোট প্রবাসী আয়ের ৫৭ শতাংশই এসেছে উপরের পাঁচ জেলায়। তবে প্রবাসী আয় পাঠানো শীর্ষ দশে থাকা অন্য জেলাগুলো হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, চাঁদপুর, মৌলভীবাজার ও নরসিংদী।

কম আয় যেসব জেলায়

চলতি ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে লালমনিরহাট, রাঙামাটি, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও খাগড়াছড়ি—এই পাঁচ জেলা প্রবাসী আয় আহরনে পিছিয়ে রয়েছে।  এই পাচ জেলার মধ্যে সবচেয়ে কম প্রবাসী আয় এসেছে লালমনিরহাটে যার পরিমান মাত্র ৫৬ লাখ ডলার। অন্যদিকে,  রাঙামাটিতে ৫৯ লাখ, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬১ লাখ, পঞ্চগড়ে ৭১ লাখ ও খাগড়াছড়িতে ৭৬ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে।

সাধারণত সামাজিক সম্পর্কের সূত্র ধরে মানুষের মধ্যে প্রবাসে যাওয়ার সুযোগ বেশি তৈরি হয় । ফলে যেসব এলাকা থেকে বেশি সংখ্যক মানুষ বিদেশে রয়েছেন, সেখান থেকে কাজের জন্য প্রবাসে যাওয়ার হারও বেশি হয়ে থাকে । ফলে, ঐ এলাকায় প্রবাসী আয়ও বেশি আসতে থাকে । এই খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন যে,  প্রবাসী আয়ে পিছিয়ে থাকা প্রায় প্রতিটি জেলা জলবায়ু–ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা । অন্যদিকে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অন্যতম কৌশল হিসেবে অভিবাসনকে দেখা হয়। ফলে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীসহ সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে যাঁরা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করছেন, তাঁরা এসব এলাকায় অভিবাসনে আগ্রহ বৃদ্ধি করতে তহবিল বৃদ্ধি, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া ও ভিসাপ্রক্রিয়া সহজীকরণের মতো উদ্যোগ যে গ্রহন করা হয় তার উপর জোড় দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। এসব এলাকা থেকে অভিবাসন বাড়লে কমবে দারিদ্র্য, বাড়বে প্রবাসী আয়।

সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো।

আরো বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।

দেশে কোটি টাকার হিসাবধারীর সংখ্যা ১,১৩,৫৮৬

দেশে কোটি টাকার হিসাবধারীর সংখ্যা ১,১৩,৫৮৬ টি

বাংলাদেশ মোট জনসংখ্যার মধ্যে ১,১৩,৫৮৬ টি ব্যাংকি হিসাবে ১ কোটির অধিক টাকা রয়েছে। সে হিসাবে দেশে কোটিপতী ব্যাংকি হিসাবের সংখ্যা ১,১৩,৫৮৬ টি। সম্প্রতি বাংলদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে ১,১৩,৫৮৬ হিসাবধারীর হিসাবে ১কোটির বা এক কোটির অধিক টাকা জমা আছে। যা ব্যাংক খাতের মোট আমানতের ৪২.৩৫ শতাংশ। এই ১,১৩,৫৮৬  টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৭ দশমিক ২৬ কোটি টাকা রয়েছে।

জুন ২০২৩ তারিখ নাগাদ ব্যাংকগুলোতে আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ১৪ দশমিক ৫৯ কোটি আর আমানতের পরিমান ছিল ১৬ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ নাগাদ দেশে ব্যাংকে আমানতকারীর সংখ্যা প্রায় ১৫ কোটি। তবে গ্রামীন এলাকায় ২২.৫৬ শতাংশ আমানত কমেছে আর শহুরে এলাকায় ৬.৩৭ শতাংশ আমানত বৃদ্ধি পেয়েছে।  ১৫ কোটি আমানতকারী ব্যাংকে প্রায় ১৭ কোটি টাকা আমানত জমা করেছে।

DMCA.com Protection Status