ব্যাংকের ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে অনাদায়ী ঋণ হিসাবসমূহকে বিদ্যমান নিয়মানুযায়ী বিরূপমানে শ্রেণিকরণপূর্বক করে তার বিপরীতে নির্ধারিত হারে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে অনাদায়ী হয়ে পড়ে থাকা এরূপ ঋণ হিসাবসমূহকে স্থিতিপত্রে প্রদর্শন করতে হয়। ফলে, ব্যাংকের স্থিতিপত্রের আকার অনাবশ্যক স্ফীত হয়। যার জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক ঐ সকল মন্দ ও ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত ঋণ অবলোপন করা হয়, যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি পদ্ধতি। তবে, অবলোপনযোগ্য ঋণ স্থিতির বিপরীতে প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয় । তাই, ব্যাংকের ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায়ও কোনো বিরূপ প্রভাব পড়ে না। তবে অবলোপনকৃত ঋণের উপর যেহেতু ব্যাংকের অধিকার অক্ষুন্ন থাকে সেহেত ুতা আদায় কার্যক্রমে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সরাসরি সম্পৃক্ত থাকা আবশ্যক বলে কেন্দ্রিয় ব্যাংক সার্কুলার জারি করেছে। তাই, দেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য ঘোষিত কর্মকৌশল (জড়ধফসধঢ়) বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা অনুসরণ করত অনাদায়ী ঋণ হিসাব অবলোপন এবং অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের লক্ষ্যে কেন্দ্রিয় ব্যাংক ঋণ অবলোপন ও অবলোপিত ঋণ আদায়ের নীতিমালা জারি করেছে।
কিভাবে অবলোপনযোগ্য ঋণ হিসাব চিহ্নিতকরণ করা হবে : (১) যে সকল ঋণ হিসাব একাদিক্রমে ০২ (দুই) বছর মন্দ ও ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত রয়েছে সে সকল ঋণ হিসাব অবলোপন করা যাবে;
(২) ঋণের শ্রেণিমান যাই হোক না কেন কোনো মৃত ব্যক্তির নিজ নামে অথবা তাঁর একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে গৃহীত ঋণ হিসাব ব্যাংকগুলো তাদের নিজ নিজ বিবেচনায় অবলোপন করতে পারবে। তবে, একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির উপার্জনক্ষম উত্তরসূরি রয়েছে কিনা তা বিবেচনায় নিতে হবে।
কিভাবে ঋণ হিসাব অবলোপন পদ্ধতি গ্রহণ করা হবে:
(১) অবলোপনযোগ্য ঋণের বিপরীতে ব্যাংকের অনুক‚লে বন্ধকিকৃত সম্পত্তি (যদি থাকে) নিয়মানুগভাবে বিক্রয়ের প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হলে এবং ব্যাংকে নিশ্চয়তা প্রদানকারী ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গের নিকট হতে পাওনা অর্থ আদায়ে সমর্থ না হলে উক্ত ঋণ অবলোপনের আওতায় আনা যাবে
(২) অবলোপনের জন্য নির্বাচিত ঋণ হিসাবসমূহের ক্ষেত্রে পূর্বে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয়ে থাকলে অবলোপনের পূর্বে অবশ্যই অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ অনুযায়ী মামলা দায়ের করতে হবে। তবে অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ এর আওতায় অত্যাবশকীয়ভাবে মামলাযোগ্য না হলে ৫,০০,০০০.০০ (পাঁচ লক্ষ) টাকা পর্যন্ত ঋণ এবং মৃত ব্যক্তির নিজ নামে অথবা তাঁর একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে গৃহীত যে কোনো অংকের ঋণ মামলা দায়ের ব্যতিরেকে অবলোপন করা যাবে;
(৩) অবলোপনের পূর্বে সংশ্লিষ্ট ঋণ হিসাবের লেজার স্থিতি হতে শুধুমাত্র রক্ষিত স্থগিত সুদ বাদ দেয়ার পর অবশিষ্ট ঋণস্থিতির সমপরিমাণ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। এক্ষেত্রে অবলোপনের জন্য চিহ্নিত প্রতিটি ঋণ হিসাবের বিপরীতে রক্ষিত প্রভিশন পর্যাপ্ত না হলে ব্যাংকের চলতি বছরের আয় খাত বিকলন করে অবশিষ্ট প্রভিশন সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে;
(৪) কোনো ঋণ হিসাব আংশিকভাবে অবলোপন করা যাবে না; এবং
(৫) পরিচালনা পর্ষদের (বাংলাদেশে কার্যরত বিদেশী ব্যাংকের ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদের পরিবর্তে স্থানীয় সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের) অনুমোদন ব্যতিরেকে কোনো ঋণ হিসাব অবলোপন করা যাবে না।
কিভাবে অবলোপনকৃত ঋণ আদায় ও তদারকি করা হবে : (১) ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ২৮(ক) ধারা অনুযায়ী অবলোপনের পরও সংশ্লিষ্ট ঋণের উপর ব্যাংকের দাবী বহাল থাকবে। অবলোপন পরবর্তী সময়ে উক্ত অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে আইনগত প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে বলে কেন্দ্রিয় ব্যাংক জানিয়েছে;
(২) ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সরাসরি তত্ত¡াবধানে প্রধান কার্যালয়ে ‘অবলোপনকৃত ঋণ আদায় ইউনিট’ (ইসলামী শরীয়াহ্ ভিত্তিক ব্যাংকসমূহের ক্ষেত্রে ‘অবলোপনকৃত বিনিয়োগ আদায় ইউনিট’) নামে একটি পৃথক ইউনিট গঠন করতে হবে বলে কেন্দ্রিয় ব্যাংক জানিয়েছে;;
(৩) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার ২ ধাপ নীচে নন এরূপ একজন কর্মকর্তাকে অবলোপনকৃত ঋণ আদায় ইউনিটের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে বলে কেন্দ্রিয় ব্যাংক জানিয়েছে;;
(৪) উক্ত ইউনিটে ঋণ মঞ্জুরী কার্যক্রম, ঋণের ডকুমেন্টেশন ও ঋণ আদায়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের বহাল করতে হবে। তবে, ন্যূনতম ০১ জন আইন বিষয়ে ডিগ্রিধারী কর্মকর্তাকে এ ইউনিটে বহাল করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যে শাখা/বিভাগের অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ের কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে ঐ শাখা/বিভাগের সংশ্লিষ্ট একজন উপযুক্ত কর্মকর্তাকে আদায় কার্যক্রমে সংযুক্ত করতে হবে বলে কেন্দ্রিয় ব্যাংক জানিয়েছে;;
(৫) ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ/পুনঃনিয়োগকালে উক্ত পদের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ঞবৎসং ড়ভ জবভবৎবহপব (ঞড়জ) এ অবলোপনকৃত ঋণ আদায় সংশ্লিষ্ট শর্তাবলী অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বলে কেন্দ্রিয় ব্যাংক জানিয়েছে;;
(৬) অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সক্ষমতা/বাৎসরিক আদায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন তাঁর উক্ত পদে পুনঃনিয়োগের ক্ষেত্রে কর্ম উৎকর্ষতার অন্যতম মানদন্ড হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে কেন্দ্রিয় ব্যাংক জানিয়েছে;;
(৭) অবলোপনকৃত ঋণ আদায় অগ্রগতির বিষয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে অবলোপনকৃত ঋণ আদায় ইউনিট কর্তৃক মাসিক ভিত্তিতে সভা আয়োজন করতে হবে। সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ কার্যবিবরণী আকারে লিপিবদ্ধ করতে হবে বলে কেন্দ্রিয় ব্যাংক জানিয়েছে;;
(৮) অবলোপনকৃত ঋণ আদায় সম্পর্কিত অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রতি ত্রৈমাসিকে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থাপন করতে হবে বলে কেন্দ্রিয় ব্যাংক জানিয়েছে;;
(৯) ব্যাংকের পাওনা আদায়ে দায়েরকৃত মামলা দ্রæত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে দক্ষ এবং খেলাপী ঋণ আদায় সংক্রান্ত মামলা পরিচালনায় অভিজ্ঞ আইনজীবী নিয়োগসহ অন্যান্য আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;
(১০) অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যাংকের আইন বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তাসহ লিগ্যাল রিটেইনারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করবেন;
(১১) এ সার্কুলার জারির ১৫ দিনের মধ্যে অবলোপনকৃত ঋণ আদায় ইউনিট গঠনপূর্বক এ কার্যালয়কে অবহিত করতে হবে। এতদ্ব্যতীত, ইউনিট গঠনের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা উক্ত ইউনিটে বহাল করতে হবে;
(১২) অবলোপনকৃত ঋণের বিপরীতে আদায়কৃত অর্থের ৫% এর সমপরিমাণ অর্থ প্রণোদনা হিসেবে অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে বিতরণযোগ্য হবে। বিতরণযোগ্য অর্থের সর্বোচ্চ ১০% ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রাপ্য হবেন। অবশিষ্ট অর্থ অবলোপনকৃত ঋণ আদায় ইউনিটের প্রধানসহ উক্ত ইউনিটের অন্যান্য কর্মকর্তা প্রাপ্য হবেন। এতদ্ব্যতীত, যে শাখা/বিভাগের অবলোপনকৃত ঋণ আদায় করা হবে উক্ত শাখা/বিভাগের সরাসরিভাবে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাও ইউনিটের কর্মকর্তাদের অনুরূপ আনুপাতিক হারে প্রণোদনা প্রাপ্য হবেন; এবং
(১৩) ভবিষ্যতে এ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানী কার্যকর হলে ব্যাংকের স্বার্থ সংরক্ষণপূর্বক অবলোপনকৃত ঋণ বিক্রয় করা যাবে। সেক্ষেত্রে বিক্রয়ের বিপরীতে প্রাপ্ত অর্থ ব্যাংকের আয় খাতে স্থানান্তর করতে হবে।
অবলোপনকৃত ঋণ হিসাব রিপোর্টিং পদ্ধতি: (১) অবলোপনকৃত ঋণের হিসাব একটি পৃথক লেজারে সংরক্ষণ করতে হবে এবং ব্যাংকের আর্থিক বিবরণীতে ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (২০২৩ পর্যন্ত সংশোধিত) এর ৩৮ ধারায় বর্ণিত তফসিলের ‘আর্থিক বিবরণী প্রস্তুতির নির্দেশনা’ অনুযায়ী রিপোর্ট করতে হবে; (২) ঋণ অবলোপন করা হলেও সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা তাঁর ঋণের দায় পরিশোধ না করা পর্যন্ত যথানিয়মে খেলাপী ঋণগ্রহীতা হিসেবে চিহ্নিত হবেন। অবলোপনকৃত ঋণ হিসাবের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি)-তে ইখড হিসেবে যথারীতি রিপোর্ট করতে হবে; (৩) ঋণ অবলোপন সংক্রান্ত তথ্য বিআরপিডি সার্কুলার নং-০৪ তারিখ: ২৫ জানুয়ারি ২০১২ এর নির্দেশনা অনুযায়ী ক্সত্রমাসিক ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊউড ঢ়ড়ৎঃধষ ব্যবহার করে ঞথচঝথছথখঘজঊঈথজঊঈঙঠঊজণ টেমপ্লেট এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে যথারীতি দাখিল করতে হবে; এবং (৪) অবলোপনকৃত ঋণ আদায় ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষরসহ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা ক্ষেত্রমতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অনুপস্থিতিজনিত কারণে চলতি দ্বায়িত্বে কর্মরত কর্মকর্তার প্রতিস্বাক্ষরে অবলোপনকৃত ঋণ আদায় অগ্রগতি প্রতিবেদন (পরিশিষ্ট-‘ক’ এ বর্ণিত ফরম্যাট অনুযায়ী) প্রতি ক্সত্রমাস অন্তে পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগে দাখিল করতে হবে।
৬। অন্যান্য বিধি-নিষেধ: (১) অবলোপনকৃত ঋণ হিসাব পুনঃতফসিল বা পুনর্গঠন করা যাবে না। শুধু ঊীরঃ চষধহ এর আওতায় এরূপ ঋণ হিসাবের পরিশোধসূচি নির্ধারণ করা যেতে পারে। তবে, সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা তাঁর ঋণের দায় সম্পূর্ণ পরিশোধিত না হওয়া পর্যন্ত যথানিয়মে খেলাপী ঋণগ্রহীতা হিসেবে সিআইবি-তে রিপোর্টকৃত হবেন এবং উক্ত ঋণ/বিনিয়োগ হিসাবসমূহ মন্দ ও ক্ষতিজনক (সিআইবি-তে ইখড) হিসেবে শ্রেণিকৃত থাকবে; এবং
(২) ব্যাংকের পরিচালক বা পরিচালক থাকাকালীন ঐ ব্যক্তির নিজের/স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে গৃহীত ঋণ সাধারণভাবে অবলোপন করা যাবে না। তবে, উক্তরূপ গ্রাহকের মৃত্যুসহ অন্যান্য কারণে কোনো ঋণ হিসাব অবলোপনের আবশ্যকতা দেখা দিলে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগ কর্তৃক নিরীক্ষাকরত অবলোপনের প্রকৃত কারণ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। উক্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনান্তে হেড অব ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স (এইচআইসিসি) এর মতামতসহ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। এতদ্ব্যতীত, এ জাতীয় প্রতিটি ঋণ হিসাব অবলোপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সপক্ষে সমুদয় দলিলাদি ও কার্যবিবরণীসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ হতে পূর্বানুমোদন গ্রহণের জন্য আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত মর্মে বিবেচিত হবে। ৭। বিআরপিডি সার্কুলার নং-০১ তারিখ: ০৬ ফেব্রæয়ারি ২০১৯ এবং বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং-০১ তারিখ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৩ এতদ্বারা রহিত করা হলো। তবে, উক্ত রহিতকরণ সত্তে¡ও রহিতকৃত সার্কুলার ও সার্কুলার লেটারের আওতায় ইতঃপূর্বে কৃত/গৃহীত কার্যক্রম ক্সবধ বলে গণ্য হবে। ৮। ইসলামী শরীয়াহ্ ভিত্তিক ব্যাংকসমূহ উপরোক্ত নীতিমালা অনুসরণপূর্বক তাদের বিনিয়োগ হিসাব অবলোপন করতে পারবে।