Breaking News
Home / নানাবিধ / ১৪ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য পদোন্নতি নীতিমালা করা হলো

১৪ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য পদোন্নতি নীতিমালা করা হলো

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ দুটি পদোন্নতি নীতিমালা জারি করেছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে ‘রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কর্মচারী পদোন্নতি নীতিমালা-২০২৫ ’, আরেকটির হচেছ ‘রাষ্ট্রমালিকানাধীন বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মচারী পদোন্নতি নীতিমালা-২০২৫।’

জানা গেছে, রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মচারী নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে অভিন্ন নীতিমালার খসড়া তৈরি করতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ২০২৪ সালের ১০ জুলাই দুটি কমিটি গঠন করেছিল। বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যাবলির সঙ্গে বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলি এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে ভিন্নতা থাকার ফলে কমিটিও আলাদা করা হয়েছিল

খসড়া নীতিমালার ওপর চলতি বছরের ১৯ জুন ও ২১ জুলাই আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন । খসড়া তৈরিতে অংশীজনদের মতামত নেওয়া হয় এবং সবার মতামতের আলোকে তৈরি করা হয় উভয় নীতিমালার চূড়ান্ত খসড়া। জারি করার আগের দিন এতে সম্মতি দেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য যেটি করা হয়েছে, তা প্রযোজ্য হবে সোনালী, রূপালী, জনতা, অগ্রণী, বেসিক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসির (বিডিবিএল) জন্য। অন্যটি প্রযোজ্য ছয় বিশেষায়িত ব্যাংক ও দুই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য। এগুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফিন্যান্স করপোরেশন।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, এখন থেকে পদোন্নতির জন্য প্রার্থীদের যেকোনো ধরনের তদবির বা সুপারিশ অসদাচরণ হিসেবে গণ্য করা হবে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা থেকে প্রিন্সিপাল অফিসার, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার, সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও উপমহাব্যবস্থাপকদের জন্য প্রযোজ্য হবে এটি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা, সন্তোষজনক চাকরির রেকর্ড, মেধা, কর্মদক্ষতা, প্রশিক্ষণ, সততা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে স্নাতক ডিগ্রির নিচে কেউ পদোন্নতির যোগ্য হবেন না। রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে ফিডার পদে চাকরিকাল গণনা করার জন্য প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বর হবে পদোন্নতির ভিত্তিকাল। বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ভিত্তিকাল ৩০ জুন।

কোনো কর্মচারীর ফিডার পদে সর্বশেষ তিন বছরের যেকোনো বছরের চাকরি সন্তোষজনক না হলে, অর্থাৎ বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে (এসিআর) বিরূপ মন্তব্য থাকলে পরের পদের জন্য বিবেচিত হবেন না। এ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলমান থাকলে, বিভাগীয় মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হলে ও দণ্ডকাল বহাল থাকলে ও ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হলে বা দণ্ড পেলে তাঁকে পদোন্নতির জন্য বিবেচনা করা হবে না।

পদোন্নতির জন্য নির্ধারিত ১০০ নম্বরের মধ্যে এসিআরের ৫ বছরের গড় নম্বর ৪৫। এ ছাড়া শিক্ষাগত যোগ্যতায় ১৫, ফিডার পদে চাকরিকালে ১৫, ফিডার পদে মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতায় ৪, ব্যাংকিং প্রফেশনাল পরীক্ষায় (ব্যাংকিং ডিপ্লোমা) ১০, দুর্গম এলাকায় কাজ করার অভিজ্ঞতায় ১, শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে ফিডার পদে কাজের অর্জন ২ ও সাক্ষাৎকার বা মৌখিক পরীক্ষায় ৮ নম্বর। বাকি ৯২ নম্বরের মধ্যে পদোন্নতিপ্রত্যাশী প্রার্থীকে কমপক্ষে ৭৫ পেতে হবে। উভয় নম্বর যোগ করে তৈরি করা হবে মেধাতালিকা।